কুরবানির গোশত দিয়ে বিয়ে-শাদী, ওলীমাসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানেও খাওয়ানো যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। কুরবানির গোশত নিজেদের প্রয়োজনমতো যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করা যাবে। তবে কুরবানির সময় শুধু অনুষ্ঠানে ব্যবহারের নিয়তে কুরবানি দেওয়া যাবে না, তাহলে কুরবানিই আদায় হবে না। বরং কুরবানি করতে হবে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্যই। এরপর তা প্রয়োজনমতো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে।
কেউ যদি কয়েকমাস পরের বিয়ের অনুষ্ঠানে খাওয়ানোর জন্য কুরবানির গোশত ফ্রীজে জমিয়ে রাখে, এতেও সমস্যা নেই। তবে শুধু অনুষ্ঠানে খাওয়ানোর জন্য কুরবানি করলে তা আদায় হবে না।
বিষয়টি এমন যে- যদি আল্লাহর হুকুম পালন করার উদ্দেশ্যে কুরবানি করে থাকে, এরপর কুরবানির গোশত দিয়ে বিয়ের মেহমানদারী করে, তাহলে কুরবানিও শুদ্ধ হবে। আবার মেহমানদারদের খাওয়ানোও বৈধ হবে।
তবে যদি বড় পশুর সাত ভাগের মাঝে আলাদা অংশ ওলীমার জন্য রাখে, তাহলে ওলীমার অংশ রাখার কারণে কুরবানি নষ্ট হবে না। বরং শরীক সবার কুরবানি শুদ্ধ হয়ে যাবে।
মাসআলা দু’টি আলাদা। এক হল, কুরবানির অংশটিকে বিয়ের মেহমানদারীর জন্য কুরবানি করা। আর দ্বিতীয় মাসআলা হল, কুরবানির অংশ নয়, বরং কুরবানির পশুতে আলাদা অংশে ওলীমার অংশ রাখা।
প্রথম সূরতে কুরবানি শুদ্ধ হবে না। দ্বিতীয় সূরতে কুরবানি
সূত্র: সুরা হজ (২২): ১৩৬; সুহহ বুখারি, হাদিস, ৫৫৬৯; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং, ১৯৭২; সুনানে নাসায়ী, হাদিস নং, ৪৪২৬; তাবয়ীনুল হাকায়িক, ৬/৪৮৫; বাদায়িউস সানায়ে, ৪/২০৯; ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ, ১৫/৫৭৫ধ হবে।
মন্তব্য