পালটা আক্রমণ বাড়াতে যে অস্ত্র বানাচ্ছে ইউক্রেন

পালটা আক্রমণের জন্য চলমান যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়েছে ইউক্রেন। সস্তা বিকল্প হিসেবে নিজেরাই ড্রোন তৈরির দিকে ঝুঁকেছে কিয়েভ। তাদের দাবি, স্থানীয়ভাবে তৈরি এসব ড্রোন বেশ কার্যকরী। যুদ্ধে শক্তি বাড়াতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে ড্রোন ইউনিট। দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণও। খবর রয়টএরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক ব্যবহার। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে নিজেদের তৈরি ড্রোন। শত্রু পক্ষের একটি গাড়ি ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের ড্রোন ইউনিটের।

রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর ধরে চলা যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের অর্থনীতি। তাই খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন। সেনাসদস্যদের তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হচ্ছে ড্রোন। এ ছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার ব্যবহৃত ড্রোনও মেরামত করে ব্যবহার করা হচ্ছে। যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সস্তা বিকল্প হিসেবেই এ উদ্যোগ।

ইউক্রেন ড্রোন ইউনিটের একজন ড্রোন পাইলট বলেন, আমরা নিজেরাই এটি বানিয়েছি। এই ড্রোনের সঙ্গে ব্যাটারি ও অ্যান্টেনা রয়েছে। লাগানো যায় বিস্ফোরক। আমি মনে করি প্রযুক্তি ছাড়া এখন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। যার প্রযুক্তি যত উন্নত সেই শেষ পর্যন্ত টিকতে পারবে। রাশিয়ার থেকে এদিক থেকে আমরা এগিয়ে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার কাছে প্রচুর ড্রোন রয়েছে। তবে আমাদের থেকে তাদের প্রযুক্তি ভিন্ন। যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা তাদের কিছু ড্রোন অক্ষত অবস্থায় পেয়েছে। এগুলোতে কিছু পরিবর্তন এনে আরও উন্নত করা হয়েছে।

চলতি বছর যুদ্ধে ড্রোনের জন্য ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করার ঘোষণা দিয়েছে কিয়েভ। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ড্রোন ইউনিট তৈরি করে তা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দুঃসময়ে সেনাবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনবাসী। অস্ত্রের জোগানের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আর যারা প্রযুক্তিতে দক্ষ তারা ড্রোন তৈরিতে সহায়তা করছে।