দালাল ও প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকতে বললেন মন্ত্রী ইমরান

প্রবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে দালাল ও প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের রজতজয়ন্তী ও পূর্ণমিলনী উদযাপন পরিষদের সভায় সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনারা দোয়া করবেন সরকার আমাকে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে; সেটা যেনো যথাযথ ভাবে পালন করতে পারি। আপনাদের দেয়া সম্মান যেনো বজায় রাখতে পারি। আপনাদের স্মরণ রাখতে হবে প্রবাসে আয় রোজগারের জন্য যেতে হলে প্রতিটি জেলায় একটি করে দক্ষ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান (ডেমো) অফিস রয়েছে। ওই অফিসগুলিতে যোগাযোগ করলে কিভাবে সরকারি ভাবে স্বল্প খরচে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাওয়া যায় তা জানা যাবে। এছাড়াও এই অফিসগুলোর মাধ্যমে জানা যাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য কি কি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রবাসে যাওয়ার পূর্বে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে তৈরী করলে বেশি বেশি টাকা উপার্জন করা সম্ভব। মন্ত্রী বলেন, সরকারি ভাবে স্বল্প খরচে প্রবাসে যেতে হলে নিজ উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। কিন্তু সাবধান! কোনোভাবে দালাল শ্রেণীর লোক ও প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়বেন না। একটু বেশি টাকা উপার্জনের জন্য আমাদের সমাজের অসহায় ও দরিদ্র লোকজন গরু, ছাগল এমনকি ভিটেমাটি বিক্রি করে প্রবাসে যাওয়ার জন্য দালাল ও প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েন। শেষ পর্যন্ত সবকিছু হারিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেন। দালাল ও প্রতারক শ্রেনীর লোক যারা তারা আমাদেরই সমাজের লোক। লোভণীয় ও আকর্ষণী বেতনের লোভ দেখিয়ে আমাদের সর্বহারা করেন। নিজ নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ছয়বার নৌকা প্রতীকে আপনারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দিয়েছেন। আপনাদের দোয়া, সহযোগিতা ও ভালবাসার কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদেরকে মন্ত্রীত্ব উপহার দিয়েছেন। আমি যখন প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই; সে সময়ে দেশের মধ্যে অবহেলিত জনপদ হিসেবে আমার এলাকা বিবেচিত ছিল। শিক্ষা,স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি বিষয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে হাজারো গুণ পিছিয়ে ছিল আমার নির্বাচনী এলাকা। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতায় শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য আমি প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের আর্থিক প্রেক্ষাপটে সরকারের নেয়া প্রতিটি উন্নয়ন পরিক্রমায় আমার নির্বাচনী এলাকাকে সর্বদাই সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। জনগণের এই ঋণ পরিশোধ করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা বার বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে আমাকে চিরঋণী করে রেখেছেন। আপনাদের এ ঋণ শোধ করতে পারব না। যখনই সরকারের পক্ষ থেকে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহনের ডাক পেয়েছি; তখনই আমার মনে হয় আমি যেন আপনাদের ঋণ শোধ করার কিছুটা সুযোগ পেয়েছি।