রাশিয়ার আলোচিত সশস্ত্র ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর কিছু যোদ্ধা বেলারুশে দেশটির সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই খবর ছড়িয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এর সত্যতা নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাড়াটে বাহিনীটি কয়েক দিন হলো বেলারুশের সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলে শুক্রবার (১৪ জুলাই) টেলিগ্রামে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দায়িত্বরত কর্মকর্তারা যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়মকানুন এবং কৌশলগত দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে ওয়াগনারের সামরিক শাখার যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেছে মিনস্ক। প্রকাশিত ভিডিওতে বেলারুশের কয়েকজন সেনাকে দেখা গেছে। কতজন ওয়াগনারের সেনা বেলারুশে অবস্থান করছেন বিষয়টি স্পষ্ট করেননি সংশ্লিষ্টরা।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওয়াগনারের প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে বেলারুশের আসিপোভিচির কাছে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সেনাদের ইউনিট প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
তবে ওয়াগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন কোথায় এ বিষয়ে কিছু জানায়নি মিনস্ক। তার অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।
গত মাসের শেষের দিকে মস্কোর সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় ঢুকে বিদ্রোহ করে ওয়াগনার বাহিনী। এর নেতৃত্ব দেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রিগোজিন। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থামিয়ে নিজেদের অবস্থানে ফিরে যান যোদ্ধারা। এ নিয়ে পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক চরমে পৌঁছেছে প্রিগোজিনের। লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বেলারুশে চলে যাওয়ার কথা ওয়াগনারের।
এর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল, ওয়াগনারপ্রধান তার সেনাদের নিয়ে বেলারুশে চলে গেছেন। কিন্তু খোদ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট কয়েকদিন আগে বলেছেন, প্রিগোজিন রাশিয়াতেই অবস্থান করছেন। তাছাড়া বিগত কিছু দিন ধরে ওয়াগনারপ্রধানকে প্রকাশ্যেও দেখা যাচ্ছে না। স্বাভাবিক কারণেই তাকে নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরি হচ্ছে।
সূত্র: দ্য হিল, আল জাজিরা, রয়টার্স
মন্তব্য