পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

পাকিস্তানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে খুব একটা স্বস্তিতে নেই দেশটির সাধারণ মানুষ। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সঙ্গে সরকার এবং সেনাবাহিনীর দ্বন্দ্বে দেশটিতে অস্থিরতা চলছে গত কয়েক মাস ধরে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। জানিয়েছে, পাকিস্তানের জনগণ দ্বারা নির্বাচিত যে কোনো সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ওয়াযুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট এলিজাবেথ হর্স্ট বলেছেন, ‘কোনো রাজনৈতিক প্রার্থী বা দলের বিষয়ে আমাদের আলাদা কোনো অবস্থান নেই।’

তিনি জানান, গণতান্ত্রিক নীতি, বাকস্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের অবাধ সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।

বাইডেন প্রশাসন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানান এলিজাবেথ।

এদিকে নির্বাচনের আগে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত তারিখের কথা এখনো জানায়নি দেশটির তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরাঙ্গজেব। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সাধারণ নির্বাচন এ বছর অক্টোবরে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে গত সপ্তাহে ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, তার সরকার আগামী মাসে ভেঙে যাবে।

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। সংবিধান অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হবে ১৩ আগস্ট।

২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট হওয়া নির্বাচনে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঐতিহ্য বজায় রেখে ইমরানও পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান। কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে বিচারকাজ চলছে। বর্তমানে লাহোরের নিজ বাসভবন জামান পার্কে অনেকটা অবরুদ্ধ অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান।

সূত্র: জিও নিউজ