জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সরকার শুধু ইয়েস শুনতে চায়। তারা গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করতে পারে না। এ কারণেই চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ারসহ সব পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে তাদের নিজেদের লোক নিয়োগ করতে চায়। সেজন্যই দেশের প্রকৃত সত্য বা বাস্তবতা বুঝতে পারে না সরকার। এতে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নেওয়া উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়। পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে নিজস্ব লোক নিয়োগ করলে সরকারের উপকার হয় না, এটাও সরকারবৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সালমা হোসেন এ্যাশ এফবিসিসিআই’র পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম
জিএম কাদের বলেন, পেশাজীবী সংগঠনগুলো করা হয় একটি উদ্দেশ্য থেকে। যেমন কখন কোন পণ্য আমদানি করতে হবে, কোন পণ্যের কত দাম হবে এবং ব্যবসায়ীরা কি পরিমাণ ব্যবসা করবে- তা নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সে ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলো হেল্পিংহ্যান্ড হিসেবে সহায়তা করতে পারে। এভাবে প্রতিটি সেক্টরের পেশাজীবী সংগঠনগুলো সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারে। সব ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে তথ্য দিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে পারে। আবার সরকার ইচ্ছে করলে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে। এতে সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কর নির্ধারণ করা হবে বা কোন পণ্যে কর নির্ধারণ করা হবে না তা সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়।
মন্তব্য