ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ লাম্পেদুসার উপকূলে জাহাজ ডুবে ৪১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। জাহাজটিতে তিন শিশুসহ মোট ৪৫ জন আরোহী ছিলেন। তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী স্যাফাক্স থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তারা। এই বিপর্যয় থেকে বেঁচে ফিরে এসে চারজন যাত্রী স্থানীয় গণমাধ্যমকে এ বিষয়েআইভরি কোস্ট ও গিনি থেকে আসা বেঁচে যাওয়া এই চার অভিবাসনপ্রত্যাশী বুধবার লাম্পেদুসায় পৌঁছান বলে জানিয়েছে বিবিসি। এদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী
বেঁচে ফেরা চার ব্যক্তি উদ্ধারকর্মীদের জানিয়েছেন, তারা একটি ছোট জাহাজে করে তিউনিসিয়ার বন্দরনগরী স্যাফাক্স থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন, পথে জলযানটি ডুবে যায়। যে জাহাজটিতে তারা উঠেছিলেন তাতে তিন শিশুসহ মোট ৪৫ জন আরোহী ছিল। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার তাদের জাহাজ স্যাফাক্স থেকে রওনা হয়েছিল, কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডুবে যায়।
তারা আরও জানান, একটি মালবাহী জাহাজ তাদের উদ্ধার করার পর ইতালির কোস্টগার্ডের জাহাজে তুলে দেয়।
ইতালির কোস্টগার্ড রোববার ওই এলাকায় দুটি জাহাজডুবির কথা জানিয়েছিল। এ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জাহাজটিও সেগুলোর একটি কিনা, তা পরিষ্কার হয়নি।
স্যাফাক্স থেকে লাম্পেদুসা সাগরপথে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে। উন্নত জীবন ও নিরাপত্তার জন্য ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশী লোকজনের জন্য এই বন্দরনগরীটি একটি জনপ্রিয় বহির্গমন পথ হয়ে উঠেছে।
চলতি বছর উত্তর আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে এ পর্যন্ত ১৮০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি ইতালির কোস্টগার্ডের টহল বোটগুলো ও বিভিন্ন ত্রাণগোষ্ঠী লাম্পেদুসার কাছে হাজির হওয়া আরও প্রায় ২০০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে।
মন্তব্য