কাশিমপুর কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনারোববার রাতে তাকে বিএসএমএমইউর কার্ডিওলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. চৌধুরী মেশকাত আহমদের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউর ডি ব্লকের দ্বিতীয় তলার সিসিইউ-২ এর ৬ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন।
রাত ১১টার দিকে বিএসএমএমইউয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জামান যুগান্তরকে জানান, এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে নতুন একটি অ্যাটাক পাওয়া গেছে।তবে এই অ্যাটাকের জন্য রিং লাগবে কিনা- তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
মোস্তফা জামান বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলাম ওনার হার্টে একটা অ্যাটাক হয়েছে।কিন্তু এখনো পুরোপুরিভাবে বলা যাচ্ছে না অবস্থা কোন দিকে যাবে। আগেই ওনার স্টেন্ট (রিং) লাগানো আছে।
নতুন করে রিং পরাতে হবে কিনা- জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, হাসপাতাল থেকে আমাকে বলা হয়েছে এনজিওগ্রাম করে রিং বসানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু তার রিং লাগবে কিনা সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে রিং লাগানো নাও লাগতে পারে। হয়ত ফলোআপে রেখে অন্যান্য ওষুধেই চিকিৎসা চালিয়ে গেলেই হবে।এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এর আগে রোববার দুপুরে কারাগারে বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাঈদীর বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে হাসপাতালে আনা হয়। বয়স্ক মানুষ হওয়ায় তার কিছু সমস্যা ছিল। তার বুকে ব্যথা, হার্টে সমস্যা, প্রেসার ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যাও আছে। ইসিজিসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
মন্তব্য