টুইটারে বিতর্কিত পোস্ট করে এবার মামলার মুখে পড়লেন ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াংকা গান্ধী। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে শনিবার দুর্নীতির অভিযোগ করে টুইট করা হয় তার অ্যাকাউন্ট থেকে। জ্ঞানেন্দ্র আবেস্তি নামের এক ব্যক্তির লেখা একটি চিঠিতে দাবি করা হয়, মধ্যপ্রদেশে যে কোনো সরকারি কাজ করতে হলে ঠিকাদারদের ৫০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়। সেই চিঠিটির ছবিই টুইট করেন প্রিয়াংকা। ব্যস! এতেই বেধে যায় বিবিজেপির বক্তব্য- সেই চিঠিটি ভুয়া ও বানোয়াট। এ অভিযোগের সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ঘটনার পর রাতেই মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে প্রিয়াংকা গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৪২০ ধারা (প্রতারণা) ও ৪৬৯ (সম্মানহানির উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রিয়াংকা গান্ধীর সেই টুইটটি রি-টুইট করায় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুন যাদবের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়। চিঠিটি টুইট করার সময় প্রিয়াংকা গান্ধী লেখেন, ‘কর্নাটকের দুর্নীতিবাজ বিজেপি সরকার ৪০% কমিশন সংগ্রহ করত। মধ্যপ্রদেশে নিজেদের দুর্নীতির রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে গেছে বিজেপি। কর্নাটকের জনগণ ৪০% কমিশন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, এখন মধ্যপ্রদেশের জনগণ ৫০% কমিশন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেবে।’
পুলিশের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় কমলনাথ বলেন, ‘হাজার হাজার দুর্নীতির মামলা রয়েছে। কতজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিজেপি? এখন যখন গোটা রাজ্যে দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে, তখন তাদের কাছে কী সমাধান রইল? চিঠিটি ভুয়া নাকি সত্য, এখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের জিজ্ঞাসা করুন। এসব লোক আপনাকে একটি নয় বরং ১০০-২০০টি চিঠি দেবে।
প্রতিক্রিয়ায় অরুন যাদব বলেন, ‘যখন কংগ্রেস দলের নেতারা ব্রিটিশদের ফাঁসিতে ভয় পায় না, তখন তারা তাদের একমাত্র এফআইআরকেও ভয় পায় না, আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘ভয় পেও না’। আগে আমরা ইংরেজদের সঙ্গে লড়াই করতাম, এখন আমরা ৫০ শতাংশ কমিশন হোল্ডারদের সঙ্গে লড়াই করব।’
মন্তব্য