ঢাবি ছাত্রদল নেতাকে খুঁজতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ আরও ৫ নেতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানকে খুঁজতে গিয়ে সংগঠনটির আরও পাঁচ নেতা ‘নিখোঁজ’ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার এই নিখোঁজের ঘটনা ঘএ ঘটনার বিবরণ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন। এতে বলা হয়, শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। জানা যায়, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতিউৎসাহী সদস্য মমিনুল ইসলাম জিসানকে তুলে নিয়ে গেছে। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তার থাকার মতো সম্ভাব্য সব জায়গায় পরিবার ও সংগঠন খোঁজ নিলেও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান, অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ একত্রে জিসানকে খুঁজতে তার বাসায় গেলে ডিবি পুলিশ তাদেরও ধরে নিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। 

বিবৃতিতে বলা হয়, এই ভোটারবিহীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বাকশালি সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অতিউৎসাহী সদস্য দেশব্যাপী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গ্রেফতার ও শারীরিক নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনতিবিলম্বে ছয় নেতার সন্ধান দিতে জোর দাবি জানিয়েছেন। 

নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল যুগান্তরকে বলেন, আমরা যখন শুনি জিসানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তখন বাকি পাঁচজনকে জিসানের খোঁজে পাঠানো হয়। তারা সেখানে গেলে তাদেরও সাদা পোশাকধারী গ্রেফতার করে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ-ই তাদের গ্রেফতারের কথা স্বীকার করছে না। এখন পার্টি বসে সিদ্ধান্ত নেবে নিখোঁজদের সন্ধানে কী করা যায়।

। বিবৃতিতে তিনি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। 

বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে বেআইনিভাবে আটকের পর অস্বীকার করা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের অমানবিক ঘটনা প্রতিদিন ঘটাচ্ছে। আটকের পর অস্বীকার করাটা অবৈধ আওয়ামী সরকার বিরোধী দল নিধনে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ছাত্রদল নেতাদের নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তাদের পরিবার ও বিএনপি নেতাকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে তাদের প্রকাশ্যে উপস্থিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’