দেশের রাজনীতির যে কোনো ইস্যুতে সোচ্চার থাকেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তিনি রাজনীতির মাঠে যেমন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, তেমনি গণমাধ্যমেও কথা বলার সময় দৃঢ়তা নিয়ে কথা বলঅন্যদিকে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। তিনিও বিভিন্ন ইস্যুতে গণমাধ্যমের টকশোতে অংশ নিয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে টকশোতে অংশ নেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
এ সময় টকশো উপস্থাপক শামা ওবায়েদের কাছে জানতে চান, আওয়ামী লীগ যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেয়, সেই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে বিএনপি যদি পরাজিত হয়, তা হলে এ ফল বিএনপি মেনে নেবে কিনা?
এমন শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপি তো বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। সেখানে কি ফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল? এখন মানা না মানার নিয়ে প্রশ্ন কেন? বিএনপি মূলত সুষ্ঠু ভোট ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোল
অন্যদিকে সানজিদা খানমকে উপস্থাপকের পক্ষ থেকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি বলেন, দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা যদি এতটাই খারাপ হতো তা হলে ব্রিকসের সম্মেলনে কেন প্রধানমন্ত্রী গেলেন? কোনো দেউলিয়া দেশকে তো সেখানে ডাকা হয়নি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ডেকেছে। বাংলাদেশ যদি দেউলিয়া হতো তা হলে তারা ডাকত না। আসলে চোরের মার গলা বড়।
এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শামা ওবায়েদ বলেন, আপনারা তো ডাকাত, তারেক রহমানের নামে যে বিচারক রায় দিয়েছিলেন, সে বিচারককে আপনারা বিদেশে পাঠিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রধান বিচারপতিকে বিদেশে যেতে বাধ্য করেছে আওয়ামী লীগ।
টকশোতে একপর্যায়ে দুজনই তুমুল বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন— এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
তুমুল বাগবিতণ্ডার কারণে টকশো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শেষ করা সম্ভব হয়নি, অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থাপক টকশো শেষ করতে বাধ্য হন।
মন্তব্য