রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবে কিয়েভের নিঃশর্ত আত্মসমপর্ণের মাধ্যমে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের মতো সেই করুন পরিণতিই অপেক্ষা করছে ইউক্রেনের ভাগ্যে। ভূখণ্ড ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতেবৃহস্পতিবার এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তার এক হুঁশিয়ারিতে এ মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও বর্তমান জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শক স্কট রিটার। তাস।
বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক্স-এর একটি পোস্টে দাবি করেন, ‘ইউক্রেন কখনো অঞ্চল বাণিজ্য করে না, কারণ আমরা কখনো নিজেদের জনগণ নিয়ে ব্যবসা করি না।’
জবাবে এক্স বার্তাতেই জেলেনস্কিকে উদ্দেশ করে স্কট রিটার বলেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ক্রিমিয়া নিয়ে এর আগেও ব্যবসা হয়েছিল। আর তার পরামর্শদাতা ছিল ন্যাটো।’ আরও বলেন, ‘ব্যবসা না করার কথা বরং প্রযোজ্য হতে পারে রাশিয়ার ক্ষেত্রে। কারণ মস্কো বাস্তবতার মোকাবিলা করছে। আর তার জন্যই একদিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে হবে।’
১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের স্বাক্ষরিত টোকিও চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপানকে যেভাবে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের পাশাপাশি নিজের ভূখণ্ডের কিছু অংশের দখল ছেড়ে দিতে হয়েছিল, ইউক্রেনের জন্যও ‘অপেক্ষা করছে একইরকম ভবিষ্যৎ’।
জাপান প্রতিপক্ষ মিত্রশক্তির দেশগুলোর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল ১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর। জেলেনস্কির এক্স বার্তাটি তৃতীয় ক্রিমিয়া প্ল্যাটফর্ম সম্মেলনকে উদ্দেশ করে দেওয়া হয়। সম্মেলনে রাশিয়ার দখল থেকে ক্রিমিয়া উদ্ধারের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের বহু এলাকা এখন রাশিয়ার দখলে। ক্রিমিয়া সেসবের মধ্যে অন্যতম। আমাদের লক্ষ্য হলো ক্রিমিয়ার দখল ফিরে পাওয়া।’
২০১৪ সালে কৃষ্ণসাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়ার দখলদারিত্ব হারায় ইউক্রেন। ক্রিমিয়া জয়ের পর সেখানে গণভোটের আয়োজন করেছিল রাশিয়া। ভোটাভুটিতে রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন ক্রিমিয়ার জনগণ।
মন্তব্য