রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করলে সংঘাত বাড়বে। যুদ্ধে পরিবর্তন আসবে না বলে সর্তক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতমঙ্গলবার রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভোস্টকের একটি ফোরামে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন। খবর আলজাজিরার।
পুতিন বলেন, ইউক্রেনের পালটা আক্রমণে ‘কোনো ফলাফল নেই’। তারা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালানোর জন্য নাশকতাকারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইউক্রেনপুতিন বলেন, ইউক্রেন যখন বুঝতে পারবে তাদের অস্ত্র ও সরঞ্জাম ফুরিয়ে গেছে তখন তারা হয়ত রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হবে।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে ১৯টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ বছরের শেষ নাগাদ ছয়টি, ৮টি পরের বছর ও বাকি পাঁচটি ২০২৫ সালে দিবে।
এই ঘোষণার নিন্দা জানান ডেনমার্কে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্লাদিমির বারবিন। তিনি বলেছিলেন, ডেনমার্ক ইউক্রেনকে ১৯টি এফ-১৬ বিমান দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সংঘাত বাড়াবে। এদিকে ডাচ প্রধানমন্ত্রীও কিয়েভকে এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রুশবিরোধী যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতা দিচ্ছে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনে মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করছে। ইতোমধ্যে এসব বিমান চালানোর জন্য ইউক্রেনীয় পাইলটদেরকে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে এফ-১৬ ব্যবহার করতে আগামী বছরের শুরু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কিয়েভকে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সামরিক সহযোগিতার লক্ষ্য হলো রুশবিরোধী লড়াইয়ে কিয়েভের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা। দীর্ঘ দিন ধরে ইউক্রেন যুদ্ধবিমান চেয়ে আসছিল। পালটা আক্রমণে ধীরগতির জন্য বিমান বাহিনীর হাতে যুদ্ধবিমান না থাকার বিষয়টিকে কারণ হিসেবে তুলে ধরছেন অনেক বিশ্লেষক।
।
মন্তব্য