সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের একদফা দাবিতে টানা কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত রোডমার্চ ও সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জে সমাবেশ দিয়ে এ ধাপের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে, যা চট্টগ্রাম বিভাগে রোডমার্চ দিয়ে শেষ হবে। এ ধাপের কর্মসূচির বিস্তারিত সোমবার গুলশান কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘোষণা করার কথা রযদ্বিতীয় ধাপে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছে দলটি। এ ধাপে হরতাল বা অবরোধের মতো ভিন্ন নামে কর্মসূচির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমেই আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে চায় বিএনপি। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে সব সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, এ ধাপে রাজধানীর প্রবেশপথের জেলার দিকে মনোযোগ দিতে চায় বিএনপি। সেজন্য ঢাকার কেরানীগঞ্জে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে আমিন বাজার অথবা সাভার, রাজধানীর গাবতলী ও উত্তরাসহ তিন স্থানে, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরে সমাবেশ করবে। এছাড়া ঢাকায় চারটি বড় সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে একটি পেশাজীবী সমাবেশ, একটি নারী, একটি কৃষক ও একটি শ্রমিক সমাবেশ করা হবে। এর ফাঁকে ফাঁকে দেশের পাঁচ বিভাগে রোডমার্চ কর্মসূচি থাকবে। সিলেট থেকে শুরু হবে রোডমার্চ। খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহের পর চট্টগ্রাম অঞ্চলে হবে শেষ রোডমার্চ। মূলত এ রোডমার্চ কর্মসূচি করার ছিল বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের। কিন্তু এখন তা হবে বিএনপির ব্যানারে। ইতোমধ্যে তিন সংগঠন উত্তরাঞ্চলে দুটি রোডমার্চ রোববার শেষ করছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার আগেই দাবি আদায় করতে চান তারা। এজন্য আপাতত দুই ধাপে কর্মসূচি সাজানো হচ্ছে। রোডমার্চ কর্মসূচি শুরুর আগে-পরে সমাবেশ এবং পথে পথে একাধিক জায়গায় পথসভা করা হবে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত একদফা দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের পথে সারা দেশে শেষ জনসংযোগের কাজ সেরে নিতে চাইছেন। এই ধাপে রোডমার্চ ও সমাবেশ কর্মসূচি ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এসব কর্মসূচিতে সরকার বাধা দিলে পরের ধাপে কঠোর কর্মসূচির পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকাকেন্দ্রিক নতুন ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
মন্তব্য