ইসরাইলে হামাসের হামলার জবাবে অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে তেলআবিব। এতে ২৩০ জনের বেশি গাজাবাসী প্রাণ হারিয়েছেন। রোববার রাতভার উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল হামলা পালটা হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে শনিবার ইসরাইলে হামাসের চালানো ব্যাপক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৩০০। ১ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরা সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ কয়েক ডজন ইসরাইলিকে জিম্মি নিয়ে গেছে। রোববার এ খবর দিয়েছে ইসরাইলি মিডিয়া।
আলজাজিরা অনুসারে হামাস বলেছে, আল আকসা মসজিদের অপবিত্রতা এবং কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি নৃশংসতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে তারা নজিরবিহীন এই আক্রমণ চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় ১৬ বছরের অবরোধ, গত বছর থেকে পশ্চিমতীরের শহরগুলোতে ইসরাইলি অভিযান, ফিলিস্তিনিদের ওপর বসতি স্থাপনকারীদের আক্রমণ বৃদ্ধি এবং সেই সঙ্গে অবৈধ বসতি বৃদ্ধি।
হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ বলেছেন, সময় এসেছে ‘শত্রুদের বোঝার... তারা পরিণতি ভোগ করা ছাড়া পাবে না।
এদিকে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহলকে ‘মরু দ্বীপে’ পরিণত করার অঙ্গীকার করেছেন।
‘আমরা এই ভয়ংকর দিনের জন্য শক্তিশালী প্রতিশোধ নেব,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
অপরদিকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, গাজায় যে আক্রমণ শুরু হয়েছে তা পশ্চিমতীর এবং জেরুজালেমে ছড়িয়ে পড়বে। গাজাবাসী ১৬ বছর ধরে ইসরাইলি অবরোধের মধ্যে বসবাস করছে। সংকীর্ণ এই উপত্যকায় প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে।
মন্তব্য