রাজধানীর নয়াপল্টনে দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার ভোর থেকেই মঞ্চ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই দলীয় কার্যালয়ের দিকে আসা শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির দপ্তরে সংযুক্ত দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী।
জানা গেছে, নয়াপল্টনের জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি বিএনপির। এ জনসমাবেশকেও ঐতিহাসিক করতে চায় দলটি। সেজন্য ঢাকা মহানগরসহ আশপাশের জেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীদের অংশ নিতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে দুর্গাপূজার পর আন্দোলন কর্মসূচি আসছে। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে।
এবারের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতিও থাকবে। মানুষ এখন আর ভয়ে ঘরে বসে থাকবে না, বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ সরকারের প্রতি চরম ক্ষুব্ধ।
সংসদ নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে প্রচেষ্টা, তাকে সম্ভাবনা হিসাবে দেখছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। তারা মনে করেন, দেশি-বিদেশি সমীকরণ মিলে গেলে স্বল্প সময়ের জন্য আন্দোলন সফল হবে।
নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। তাদের মূল লক্ষ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা ঠেকানো। এজন্য তফশিল ঘোষণার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে থেকেই কঠোর কর্মসূচি শুরু করতে চাইছে দলটি।
নেতাদের বিশ্বাস, এবারের আন্দোলনে উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হবে। ফলে সরকারের পক্ষে তফশিল ঘোষণা সহজ হবে না।
সমমনাদেরও একই কর্মসূচি : একদফা দাবিতে বুধবার জনসমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চ ও ১২ দলীয় জোটসহ সমমনা রাজনৈতিক দল। বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনসমাবেশ করবে গণতন্ত্র মঞ্চ, একই সময়ে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে জনসমাবেশ হবে।
মন্তব্য