গাজার আল কুদস হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ। তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কয়েকটি মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ। ওদিকে মার্কিন দুই জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। শুক্রবার দিবাগত রাতভরও গাজায় বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। সব মিলে এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪১৩৭ ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৪০০। যে দুই মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল তারা মা ও মেয়ে- জুডিথ এবং নাতালি রানান। ৭ই অক্টোবর রকেট হামলা চালানোর সময় যে প্রায় ২০০ মানুষকে জিম্মি করেছিল হামাস, তারা তারই অংশ।তাদেরকে মুক্তি দেয়ায় মধ্যস্থতা করে কাতার। মুক্তি পাওয়ার পর তারা গাজা ত্যাগ করেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আরও জিম্মিকে মুক্তির অব্যাহত চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন।
শুক্রবার মিশরের সঙ্গে গাজার রাফা সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ। এ সময় তিনি আশা করেন, শনিবার বা একই রকম সময়ে গাজায় সহায়তার প্রথম চালানটি প্রবেশ করবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও আল জাজিরা।
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাস ও অন্য যোদ্ধাগোষ্ঠীগুলো রকেট হামলা চালানোর ৬দিন পর কাতারের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গাজায় আটকে রাখা জিম্মিদের পরিণতি নিয়ে আলোচনা করেন তারা। এ সময়ে জিম্মিদের উদ্ধারে হামাসের ওপর তাদের প্রভাব ব্যবহারের প্রস্তাব দেয় কাতার। এরপর চলতে থাকে আলোচনা। কয়েক দিন ধরে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে থাকে কাতার। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন দু’জন জিম্মি মুক্তি পান। এ জন্য কাতারের প্রশংসা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী। কাতার আশা করছে, তারা আরও জিম্মিকে মুক্ত করাতে পারবে।
ওদিকে লেবানন সীমান্তে সংঘর্ষে ইসরাইলের একজন সেনা নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। দক্ষিণ লেবানন থেকে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এ ঘটনা ঘটে। গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইল সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সেখানে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলি সেনারা সংঘর্ষে লিপ্ত।
মন্তব্য