বিরোধী দলের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করে আবারও ২০১৪ সালের মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা অবিলম্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান। সোমবার এক বিবৃতিতে ১২ দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, জনগণ সরকারের এই দুরভিসন্ধি বাস্তবায়ন হতে দেবে না। বরং দাবি আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বিএনপি ও ১২দলীয় জোটসহ সকল বিরোধী দলের ২৮শে অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশি হামলা, গুলি, লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ, বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অগণিত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে জানাচ্ছি।তারা বলেন, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ অন্যান্য নেতাদের নানাভাবে হয়রানি ও অপদস্থ করা হচ্ছে। এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ করে গ্রেপ্তারকৃত সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ও যুগপৎ আন্দোলনে শরিক সকল দলের নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। গ্রেপ্তার নির্যাতন করে জনগণের ভোটের দাবি আদায়ের আন্দোলনকে দমন করা যাবে না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আগামী ৩১ অক্টোবর, ১ এবং ২রা নভেম্বরে তিনদিন অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, ১২ দলীয় জোট প্রধান সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বি এম এল) এর চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এর সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, ইসলামিক ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির সভাপতি ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন প্রমুখ।
মন্তব্য