গুলিতে আহত ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব

ফরিদপুরে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছে জেলা বিএনপি। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর অংশের বাহিরদিয়া ব্রিজের কাছে বুধবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।বিএনপির পক্ষ থেকে হামলার সঙ্গে সরকারদলীয় কর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে আহতরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।জানা গেছে, বিএনপির দেশব্যাপী অবরোধের সমর্থনে বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কোমরপুরের বাহিরদিয়া ব্রিজের কাছে মিছিল বের করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী। মিছিলটি শুরুর পরপরই ধুলদীর দিক হতে ২০-৩০টি মোটরসাইকেলে করে একদল যুবক এবং ফরিদপুরের দিক হতে ১৫-২০ জন যুবক হামলা চালায়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় শটগানের গুলিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল ইসলাম গুলিতে আহত হন।এছাড়া জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথিল, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শামীম খান কায়েস ও অনিক খান জিতু, প্রচার সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম স্মরণ, জাহিদুল ইসলাম সহ আরও কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে।খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে বিএনপি নেতাদের দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় বলে বিএনপির নেতারা জানান। বিএনপির মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, একে কিবরিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বাহিরদিয়া এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীরা হামলা চালান। হামলাকারীদের ছোড়া ছররা গুলি কিবরিয়ার হাতে লাগে। এছাড়া ওই হামলায় আহত হয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম।সৈয়দ মোদাররেছ আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ কিবরিয়ার চিকিৎসা চলছে। তবে কোথায় চিকিৎসা চলছে তা বলতে অপারগতা জানান।এ সম্পর্কে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ বলেন, বাহিরদিয়া এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা বাস ভাঙচুরের উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে আসছিলেন। পরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।বিএনপির নেতা কিবরিয়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে আলী আশরাফ বলেন, পালাতে গিয়ে কিবরিয়া বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মহাসড়কের পাশে ড্রেনে পড়ে গিয়েছিলেন। এ কারণে তার হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিলে গেছে। গুলি ছোড়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল বলেন, ওখানে বিএনপির সমর্থকেরা পিকেটিং করার চেষ্টা করছিলেন। ওই সময় পুলিশের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।