থেরেসা মে হত্যা ষড়যন্ত্র : বাংলাদেশির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসো মে-কে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিট্রিশ যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। শুক্রবার আদালতে রায়ের তাকে কমপক্ষে ৩০ বছর কারাগারে রাখার আদেশ দেন বিচারক। নাইমুর জাকারিয়া রাহমান (২১) গত মাসে সন্ত্রাসী পরিকল্পনার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। তবে এর আগে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। ডাউনিং স্ট্রিটে বোমা মেরে এবং পরবর্তীতে ছুরিকাঘাতে বা গুলি করে থেরেসা মে-কে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন নাইমুর রাহমান। গত বছরের নভেম্বরে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ফাইভের সন্ত্রাস দমন কর্মকর্তাদের একটি ছদ্মবেশী অভিযানে তাকে আটক করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদ ইমরান নামে এক যুবককে আইএসে যোগ দিতে সাহায্যের অভিযোগ রয়েছে। হামলা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নাইমুর গত নভেম্বরে হোয়াইট হলের আশপাশ ঘুরে দেখেন এবং বিস্ফোরক নিতে একটি ব্যাগ তিনি ছদ্মবেশি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দেন। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নকল বিস্ফোরক ভরে ওই ব্যাগ ও একটি জ্যাকেট নাইমুরকে দেন। ব্যাগটি নিতে গিয়েই ধরা পড়েন নাইমুর। মামলার রায়ে বিচারক বলেন, আমি নিশ্চিত রাহমান বিশ্বাস করেছিলেন যে, তার কাছে থাকা সব যন্ত্র সত্যিই কার্যকর এবং মারাত্মক ক্ষতি করতে সক্ষম। হামলা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে নাইমুর রাহমান সামাজিক মাধ্যমে একজন আইএস সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে তিনি যার সঙ্গে কথা বলছেন তিনি আইএস সদস্যের ছদ্মবেশে থাকা একজন এফবিআই এজেন্ট। ওই এফবিআই সদস্যই এমআই ফাইভের একটি টিমের সঙ্গে নাইমুরকে পরিচয় করিয়ে দেন। তারা নাইমুরকে বুঝিয়েছিলেন যে, তারা প্রকৃতপক্ষেই আইএস সদস্য। নাইমুর রাহমান এমআই ফাইভের ওই সদস্যদের জানান, তিনি পার্লামেন্টে আত্মঘাতী হামলা চালাতে চান। তিনি থেরেসা মে-কে হত্যা করতে চান। তবে নাইমুর রাহমানের আইনজীবীর দাবী, তাকে তার চাচা ব্রেইনওয়াশ করেছে। তিনি তাকে এ ধরনের হামলায় উৎসাহ দিয়েছেন। সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দেন নাইমুরের ওই চাচা। সিরিয়ায় আইএসের হয়ে লড়াইয়ে একটি ড্রোন হামলায় তার মৃত্যু হয়।