সাঁজোয়া যানের ভেতর বিস্ফোরণ, পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত

গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।বুধবার পৌনে ৪টার দিকে পুলিশ-শ্রমিক দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় এপিসি কারের (সাঁজোয়া যান) ভেতর বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণে পুলিশ সদস্যরা আহত হন।জানা গেছে, কারখানা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে আন্দোলন করেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় এক নারী শ্রমিক নিহত হন। এরপর পরিস্থিতি পুরোই স্বাভাবিক ছিল।দুপুরের পর কোনাবাড়ি এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় শ্রমিকরা। বেলা পৌনে ৪টার দিকে শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায়ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় শ্রমিকরা।এ সময় সংঘর্ষে পুলিশের পাঁচ সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। পরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাবের সমন্বয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শ্রমিকরা পিছু হটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজের সামনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আহতাবস্থায় পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য প্রবীর (৩০), ফুয়াদ (২৮) ও খোরশেদকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশিকুল (২৭) ও বিপুলকে (২৪) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থায় বেশি গুরুতর, তার ডান হাতে আঙ্গুলে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিসি কারের (সাঁজোয়া যান) ভেতর যেসব পুলিশ সদস্যরা ছিল তাদের অসাবধানতায় বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণে ৫ সদস্য আহত হন।তবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন ও বিকালে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিকালে যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এদের শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও এপিসি কারে বিস্ফোরণেও আহত হওয়ার ঘটনা আছে। এখন শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে।