ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার হুশিয়ারি এরদোগানের

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। টানা দেড় মাস ধরে চালানো এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১২ হাজার ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, মসজিদ এমনকি হাসপাতালের মতো স্থাপনাও।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরাইলি সরকারের বিচার করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এমনকি ইসরাইলি সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য ‘প্রচুর প্রমাণ’ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। খবর আনাদোলুপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলের চলমান কর্মকাণ্ডের আবারও সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। 

শনিবার তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইল সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য ‘প্রচুর প্রমাণ’ রয়েছে।

জার্মানিতে একদিনের সফর শেষ করে তুরস্কে ফিরে এরদোগান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরাইলি প্রশাসনের বিচারের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এই অপরাধের নিরপেক্ষ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আমরা আমাদের ক্ষমতায় থাকা সবকিছুই করব।’

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্পর্কে তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নেতানিয়াহু নিজেই একজন সর্বনাশগ্রস্ত ব্যক্তি। আমরা তার থেকে মুক্তি পেতে চলেছি। আশা করি, ইসরাইলও তাকে বিদায় করবে এবং এতে করে বিশ্বের সব ইহুদি তার থেকে মুক্তি পাবে। বর্তমানে তার নিজের দেশের (ইসরাইল) ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নাগরিক নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করে।’

প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, তুরস্ক গাজার নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘গাজার বাসিন্দাদের সাহায্য দিতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের খাদ্য ও পানি না দিয়ে অনাহারে রাখছে ইসরাইল। কিন্তু আমরা হাল ছাড়ব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা যাই থাকুক না কেন, আমরা গাজাকে বাঁচিয়ে রাখব। সমগ্র বিশ্ব, বিশেষ করে ইসলামিক দেশগুলোর উচিত সাহায্য প্রদানের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া।’

এর আগে সংক্ষিপ্ত এক সফরে শুক্রবার জার্মানিতে গিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্টের এবারের জার্মান সফরটি ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ নিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে প্রকাশ্যে এরদোগানের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ছাড়া ইসরাইলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনো অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়িঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।।