আমি চাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে ইলেকশন। এই ইলেকশন আমরা এবার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। কারণ আমরা চাই জনগণ অংশগ্রহণ করুক, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিক। সবাই জনগণের কাছে যাবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সে নির্বাচিত হবে। আমি চাই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক এবং জনগণের যে ভোটাধিকার, সেটি তারা প্রয়োগ করতে পারুক। গণতন্ত্রকে আমরা সুরক্ষিত করতে চাই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকলে যে দেশের উন্নতি হয় সেটার প্রমাণ আমরা করেছি। নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি’র ‘আগুন রাজনীতির’- সমালোচনা করে দলটির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার কথায় নেচে পাপের ভাগিদার হচ্ছেন আপনারা। আপনাদের হুকুম দিচ্ছে আর আপনারা নাচেন।কার জন্য নাচেন, ওতো দেশেই আসে না। আসন্ন ৭ই জানুয়ারির ভোটের প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে গতকাল ৬ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা, বরিশাল বিভাগের বরগুনা, ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলায় সমাবেশ আয়োজন করা হয়। জেলাগুলোর স্টেডিয়াম এবং বিভিন্ন স্কুলের মাঠে এসব সমাবেশ আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। তিনি ঢাকার তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগের ভবন থেকে যুক্ত হন। পরে এসব স্থানের উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি’র নেতা কে সেটাই প্রশ্ন। দু‘টোই তো সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এরপরও তার ভাই-বোন এসেছিল আমার কাছে, মানবিকতার জন্য তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছি। আর তারেক জিয়া, যারা আমাকে গ্রেনেড হামলা করে মারতে চেয়েছিল, গুলি করেছে, হামলা করেছে, তারপরও আমরা এই মানবিকতা দেখিয়েছি। তার ছেলে হাওয়া ভবন খুলে যত দুর্নীতির আখড়া আর সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বোমা হামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। এরপর ২০০৭ সালে আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে নাকে খত দিয়ে বিদেশ গিয়ে এখন সেখান থেকে হুকুম দিচ্ছে পুড়িয়ে মানুষ মারার। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি’র যারা নেতাকর্মী আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়... আমি বলবো যারা পোড়াচ্ছেন পাপের ভাগিদার আপনারাই হবেন। তারেকের কিছুই হবে না। ওতো ওখানে জুয়া খেলে ভালো আছে। আপনাদের হুকুম দিচ্ছে আর আপনারা নাচেন। কার জন্য নাচেন, ওতো দেশেই আসে না। মা মরে মরে, তাকে দেখতেও তো আসে না। এত সাহস থাকলে একবার দেশে এসে দেখুক না। এদেশের মানুষ এই যে হত্যাকাণ্ড এর প্রতিশোধ তারা নেবেই। এ সময় বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল অভিহিত করে তিনি বলেন, যারা আগুন দিয়ে পোড়ায় বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল না, এটা একটা সন্ত্রাসী দল। জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এই সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশের উন্নয়নের ধারাটি তখনই অব্যাহত থাকবে যখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবে এবং গণতান্ত্রিক ধারাটি অব্যাহত থাকবে।কুষ্টিয়াসহ পাঁচ জেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনী সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় প্রধানমন্ত্রী জাসদ সভাপতি হাসানুল ইনুর উদ্দেশ্যে রসিকতা করে বলেন, খেয়াল রাখবেন ইনু ভাই যেন নৌকা থেকে দোল খেয়ে পড়ে না যান। এ উপলক্ষে গতকাল বিকাল ৪টায় কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জড়ো হন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা। সভায় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী।এরপর প্রধানমন্ত্রী লালনের গান শুনতে চাইলে এক ছাত্রলীগ নেতা খালি গলায় গান পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রী মুগ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতার গান শোনেন। পরে তিনি সভায় উপস্থিত জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর উদ্দেশ্যে রসিকতা করে বলেন, ‘এখানে ইনু ভাইও আছেন দেখছি। ইনু ভাইও আমাদের নৌকায় উঠেছেন, খেয়াল রাখবেন তিনি যেন দোল খেয়ে পড়ে না যান।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব-উল আলম হানিফ,এরপর প্রধানমন্ত্রী লালনের গান শুনতে চাইলে এক ছাত্রলীগ নেতা খালি গলায় গান পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রী মুগ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতার গান শোনেন। পরে তিনি সভায় উপস্থিত জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর উদ্দেশ্যে রসিকতা করে বলেন, ‘এখানে ইনু ভাইও আছেন দেখছি। ইনু ভাইও আমাদের নৌকায় উঠেছেন, খেয়াল রাখবেন তিনি যেন দোল খেয়ে পড়ে না যান।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুব-উল আলম হানিফ,কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী ও দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, কুষ্টিয়া-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।