যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ইইউতে পোশাক রপ্তানি কেন কমছে

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজারগুলোতে রপ্তানির পরিমাণ কমেছে। এরমধ্যে বৃহত্তম বাজার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি কমেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএ’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সবশেষ নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারে পোশাকের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমে গেছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পোশাক পণ্যগুলোর মধ্যে ৮০.৬৭ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যাচ্ছে। এসব দেশকে পোশাক রপ্তানির বড় বাজার হিসেবে বিবেচনা করেন রপ্তানিকারকরা। রপ্তানির বাকি পণ্যগুলো চীন, ভারত, রাশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে যাচ্ছে। ইউরোপ ও পশ্চিমা দেশগুলোর মানুষের ক্রয় প্রবণতা কমে যাওয়ায় এসব দেশে পোশাক রপ্তানি কমে গেছে বলে মনে করেন শিল্প মালিকরা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন এবং শ্রম অধিকার রক্ষার ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা আগামী দিনে রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে কিনা, তা নিয়ে রপ্তানিকারকদের উদ্বেগ রয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটির খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ও অন্যান্য স্বল্প প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রেতারা খরচ কমিয়েছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমছে। বিদায়ী বছরের প্রথম ১১ মাসে এই দেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ধস নেমেছে। বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির ১৮ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।