ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তরে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরানসোমবার রাতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস (আইআরজিসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এর স্থাপনাতেও হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইআরজিসি। খবর রয়টার্স, টাইমস অব ইসরাইলের।
গাজা যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের উদ্বেগের মধ্যেই ইরান এই হামলা চালিয়েছে।
আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইল নৃশংস হামলা চালিয়ে আইআরজিসি এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীর কমান্ডারদের হত্যা করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে মোসাদের প্রধান গুপ্তচরবৃত্তির একটি সদরদফতর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ইসরাইলের সরকারি কর্মকর্তাদের কোনো মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।
গত মাসে সিরিয়ায় আইআরজিসির এক কমান্ডারসহ তিন সদস্যের হত্যার ঘটনা ঘটে। এজন্য ইসরাইলকে দায়ী করে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয় ইরান।
বিবৃতিতে আইআরজিসি জানায়, আমরা আমাদের জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে, নিহতদের রক্তের শেষ বিন্দুর প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত আইআরজিসির অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধারা। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এছাড়া পরবর্তীতে এই উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়ে লেবাননের হিজবুল্লাহও। সেখানেও বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ১৩০ হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, গাজায় ইতোমধ্যে ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২৪ হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও সেখানে আহত হয়েছে আরও ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
।
মন্তব্য