বাংলাদেশের সম্ভাবনা ম্লান হয়েছে

বাংলাদেশে ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশ্বে কমপক্ষে দু’জন নেতা আনন্দিত। তাদের একজন, অবশ্যই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছেন। অন্যজন হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার প্রতি শেখ হাসিনা বিরল এক বন্ধুত্ব প্রদর্শন করেন। ঢাকা গণতন্ত্রের দিক দিয়ে পশ্চাৎধাবন করছে- এতে বাকি বিশ্ব নিরুৎসাহিত বা হতাশ। কিন্তু বৈশ্বিক অননুমোদন তুলনামূলকভাবে কম। ২০১৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৫৭ আসন। কিন্তু এবার সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে তার দল জিতেছে ২২২ আসনে। প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সহ আরও কিছু দল নির্বাচন বর্জন করায় এতে সহাযবিএনপির বহু নেতা ও কর্মী জেলে ছিলেন নির্বাচনকালে। অনেক আসনে কথিত ডামি প্রার্থী দেয়া হয়েছিল। এসব রাজনীতিককে সামনে আনা হয়েছিল, যাতে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে এটা দেখানো যায়। তারা স্বতন্ত্র বা নামমাত্র অন্য দলের প্রতিনিধিত্ব করে নির্বাচন করেছেন। বিশ্ববাসী যখন গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে বেশি দৃষ্টি দিয়েছে, তখন শেখ হাসিনা হয়তো জানতেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে কারো কোনো আকর্ষণ থাকবে না। ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। যেসব মানুষ রাষ্ট্রীয় কল্যাণমূলক সুবিধা পান তাদেরকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা সতর্ক করেছেন যে, ভোট না দিলে প্রদেয় সুবিধা কেড়ে নেয়া হবে। ২০১৮ সালে বিরোধীরা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য নেতাদের প্রার্থী করেছিল। কিন্তু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে আওয়ামী লীগের অস্বীকৃতির কারণে, বিরোধীরা এ বছর নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। 

যদিও আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে, নির্বাচনে ভোট পড়েছে শতকরা মাত্র ৪০ ভাগ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় এই হার অর্ধেক। একই সঙ্গে এবার নির্বাচনে ভোটের এই হার গত তিন দশকের মধ্যে সর্বনি¤œ ভোটের অন্যতম। ভোটের এই হার নিয়ে এমনকি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। প্রতিশোধ নেয়া হতে পারে এ ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র বলেছেন, তিনি ৭ই জানুয়ারি ভোট চলাকালে বেশ কয়েকটি বুথ পরিদর্শন করেছেন। তিনি রিপোর্ট করেছেন যে, কিছু বুথে দুপুর ২টা পর্যন্ত হাতেগোণা কিছু ভোটার ছিলেন। কোনো কোনো স্থানে ভোট দিয়েছেন শতকরা ৫ থেকে ১০ ভাগের মধ্যে। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার বলে, ভোট দিয়েছেন শতকরা ২৭ ভাগ ভোটার। তারপর বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। শেষের এক ঘণ্টায় ওই হার দ্রুত বেড়ে শতকরা