আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে নারী নেই। নারী শুধুমাত্র আছে তাই নয়, বহু সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় এখন নারী আছে; কিন্তু তারপরও আরও অনেক দূর যাওয়ার আছে আমাদের। সে কারণে আমাদের নারী-পুরুষ সবাইকে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। নারীর এগিয়ে আসা মানে পুরুষের পিছিয়ে যাওয়া নয়। নারী এগিয়ে যাওয়া মানে সমাজের সবার এগিয়ে যাওয়া। যে কারণে নারী-পুরুষ সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার পরিবেশ ও পরিস্থিতি সব ক্ষেত্রে আমাদের তৈরি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা আজ শুধুমাত্র দেশেই নয়, সারা বিশ্বে নশুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী উদ্যমী নারী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাজ কল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, সমাজে এখনো প্রান্তিক মানুষ আছে এবং সেই প্রান্তিকতা নানা কারণে। কোথাও ভৌগোলিক, কোথাও অবস্থানগত এবং সাম্প্রদায়িক কারণে। সেই প্রান্তিকতা দূর করবার জন্য বঙ্গবন্ধু বৈষম্যহীন সমাজ চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা কল্যাণমুখী রাষ্ট্র তৈরি করবার জন্য কাজ করে চলছেন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মাধ্যমে। তার মাধ্যমেই এ প্রান্তিকতা দূর করে সমাজের পিছিয়ে পড়া প্রত্যেক মানুষকে উন্নয়নের যে মূলধারা সেখানে সম্পৃক্ত করতে চাই।
দীপু মনি বলেন, এ প্রান্তিকতা দূর করতে গেলে চ্যালেঞ্জ তো কিছুটা আছেই। আর্থিক কিছু চ্যালেঞ্জ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলোকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। আর এসব কাজ সবাই মিলেই করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, নারীরা উদ্যোক্তা হয়ে তাদের আয় রোজগারের ব্যবস্থা করছেন তাই নয়, তারা অন্যদের কর্মসংস্থান তৈরি করছেন। নারীর জয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্রা নারীর নয়, সমাজেরই জয়। নারীকে পেছনে রেখে সমাজ কিন্তু এগিয়ে যেতে পারে না। যে কারণে আমাদের বঙ্গবন্ধু সমাজের যে বৈষম্যহীনতা চেয়েছেন, সেখানে তিনি নারী-পুরুষের উভয়ের সমতাও চেয়েছেন। সে কারণে তিনি আমাদের সংবিধানেও যুক্ত করেছেন।
দীপু মনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে নারী-পুরুষ উভয়ের সমানতালে এগিয়ে যাওয়া জন্য কাজ করছেন। যে নারী কিছুটা পিছিয়ে ছিল তাকে সামনে আনার জন্য নানা প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারীদের ব্যবসার ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক। এর মধ্যে আর্থিক ও প্রশিক্ষণের সমস্যা রয়েছে। সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিংয়ের যে সুবিধাগুলো করে দিয়েছেন সেগুলো অনেক উদ্যোক্তা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। এক্ষেত্রে এখন অনেক উদ্যোক্তা নারী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন এবং যার ফলে এখন অনেক নারী এগিয়ে আসছেন।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, মেলার আয়োজক চাঁদপুর উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনিরা আক্তারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।েতৃত্ব দিচ্ছেন।
মন্তব্য