দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়া সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কসেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে তাদের অনুপস্থিতিতেও ভোটারশূন্য হয়নি, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনও হয়নি। দলটির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।
শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নির্বাচনে সব দল অংশ নেওয়ার পরও ৪০ শতাংশের উপরে ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায় না। আমরা জানি, ইউরোপসহ অনেক দেশে ভোটারের উপস্থিতি ২৫-৩০ শতাংশ হয়। আবার কোথাও কোথাও এর চেয়েও কম হয়।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে এখন সর্বগ্রাসী একটা সংকট সবাইকে ঘিরে ধরেছে। শৈত্যপ্রবাহে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে গত কয়েক দিনে তুষারঝড়ে ৩০ জন মারা গেছেন। যুদ্ধ তো লেগেই আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, সুদানের দুই জেনারেলের যুদ্ধ, ইসরাইল-গাজার যুদ্ধ তো চলছেই। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংকট নিরসনে কয়েক মাস লাগবে, কিন্তু হামাসের ধ্বংস ছাড়া যুদ্ধ থামবে না।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। শেখ হাসিনার সাহসিকতার কারণে আমরা দাবি করতে পারি যে দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রয়েছে।
নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্রের পাঁয়তারা করছে দাবি করে তিনি বলেন, এখন যে সহিংসতা বন্ধ আছে, এটাকে পার্মানেন্ট বলা যায় না। এখন হয়তো তারা প্রস্তুত হচ্ছে বড় ধরনের সহিংসতার জন্য। ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাইরে কথা বলছে। তারা শক্তি সঞ্চয় করছে বড় ধরনের সহিংসতার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
মন্তব্য