বোল্টনকে ভর্ৎসনা করলেন এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে ভর্ৎসনা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, সিরিয়া থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনাকে তিনি জটিল করে তুলছেন। এর আগে জন বোল্টন তুরস্ককে সিরিয়ায় কুর্দিশ যোদ্ধাদের ওপর হামলা না চালাতে বলেছিল। মঙ্গলবার আঙ্কারায় তুর্কি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও এরদোগানের সঙ্গে দেখা না করে চলে যান তিনি। পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন একে পার্টির সদস্যদের এরদোগান বলেন, সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তুরস্কের সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে শর্তারোপ করে মারাত্মক ভুল করেছেন বোল্টন। সিরিয়া থেকে দুই হাজার মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষণা বাস্তবায়নের জটিলতাকেই সামনে নিয়ে এসেছে এরদোগানের এ ভর্ৎসনা। ট্রাম্পের ঘোষণার পর মার্কিন প্রশাসন থেকে এ যাবত মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার পর উত্তর সিরিয়ার বিশাল অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তুরস্কের সহায়তার কথা বলা হয়েছে ট্রাম্পের পরিকল্পনায়। কিন্তু আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন মিত্র ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের ক্ষতি না করার ব্যাপারে তুরস্ক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নিশ্চয়তা চেয়েছেন বোল্টন। উত্তর আটলান্টিক ট্রিটি ওরগানেইজেশনের দুই মিত্র দেশের মধ্যে এ নিয়ে কোনো চুক্তির সম্ভাবনা দেখা যায়নি। যদিও সিরিয়া ও বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আগে থেকেই টানাপড়েন চলছে। গত মাসে ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের আকস্মিক ঘোষণা দিলে ওয়াশিংটনের কর্মকর্তা ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগজনক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। পরে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তুরস্কে আসার আগে বোল্টন বলেন, সামরিক পদক্ষেপ নিতে তুরস্ককে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। এ ছাড়া আঙ্কারা কুর্দিশ যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে সেনা প্রত্যাহার করা হবে না বলে তিনি জানান। কিন্তু এরদোগান বলেন, শর্ত অগ্রহণযোগ্য। তিনি ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের মধ্যে কোনো অমিল খুঁজে পান না। তিনি বলেন, যদি তারা সন্ত্রাসী হয়, তাতে যা প্রয়োজন আমরা তাই করব। তারা কোথা থেকে এসেছে, এখানে তা বিবেচনা করা হবে না। ‘বোল্টন মারাত্মক ভুল করেছেন, যারাই এমনটি ভাববেন, তারাও একই ভুল করবেন। এ ক্ষেত্রে কোনো সমঝোতায় আসা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়,’ বললেন এরদোগান। তুর্কি প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দুই দেশের বোঝাপড়াকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সদস্যরা। কারণ মার্কিন প্রশাসনের বিভিন্ন অংশ থেকে ভিন্ন সুর আসতে শুরু করেছে।