যে কারণে রাখাইনের কট্টরপন্থী সেই নেতার ২০ বছরের জেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রোহিঙ্গা মুসলিমবিরোধী কট্টরপন্থা অবলম্বনকারী জাতিগত রাখাইন নেতাকে ২০ বছরের জেল দিয়েছেন মিয়ানমারের একটি আদালত। খবর এএফপির। আরাকান ন্যাশনাল পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান আয়ি মাউং নামে ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রাষ্ট্রদ্রোহের। মঙ্গলবার এই রায় দেয়ার পর কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে তার শত শত সমর্থক উপস্থিত ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, আয়ি মাউংয়ের বিরুদ্ধে দেয়া এই রায়ে জাতিগত রাখাইন ও সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান উত্তেজনাকর লড়াই আরও তীব্র হবে বলে। এদিন আরও একজন লেখন রাখাইন বৌদ্ধকে একই শাস্তি দেয়া হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধেই একই অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বছর আরাকান ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নতুন করে দাঙ্গা শুরু হয়। এর আগে জানুয়ারিতে আয়ি মাউং জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়েছিলেন। এতে মানহানিকর কথাবার্তা বলেছেন এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতা করেছেন বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ওই সময় রাষ্ট্রসমর্থিত গণমাধ্যমে বলা হয়েছিল যে, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। জাতিগত রাখাইনদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার দাসের মতো আচরণ করছে বলে তিনি র‌্যালিতে বক্তব্য দিয়েছিলেন। ওই সময়কে জাতিগত রাখাইনদের সশস্ত্র লড়াইয়ের উপযুক্ত সময় বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। এর পরের রাতেই রাখাইন বিক্ষোভকারীরা একটি সরকারি ভবন দখলে নেয়। পুলিশ সেখানে গুলি চালায়। এতে নিহত হন ৭ জন। এদিকে মঙ্গলবার বিবাদীপক্ষের আইনজীবী আয়ি নু সেইন বলেছেন, এ দুজনের প্রত্যেককে ২০ বছর করে জেল দেয়া হয়েছে। দেশটিতে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যটি সহিংসতার কারণে বিচ্ছিন্ন। ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ দিক থেকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে হত্যা, ধর্ষণ, অঙ্গহানি ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিবরণ পাওয়া গেছে। তবে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করা নৃতাত্ত্বিক রাখাইন জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করছে।