গাড়িতে ওঠলে কেন বমি হয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক : গাড়িতে ওঠলেই বমি হয় আপনার। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। গাড়িতে ওঠার কারণে যদি বমি হয় তবে বিষয়টি কিন্তু খুবই বিব্রতকর।এতে আপনি অনেক সংকোচে পড়বেন। কিন্তু এর জন্য কি আপনি দায়ী। মোটেই নয়। গাড়িতে ওঠলেই মাথা ঘোরায়? ক্লান্তি চলে আসে গাড়িতে ওঠলেই। যদি আপনি কোখাও ভ্রমণে যান তবে আপনার পুরো ভ্রমণটাই মাটি হয়ে যাবে। ভ্রমণে বিশেষ এই সমস্যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে ‘মোশন সিকনেস বা ট্র্যাভেল সিকনেস ’। মোশন সিকনেস কি মোশন সিকনেস মূলত কোনো শারীরিক সমস্যা নয়। এটি একটি মস্তিষ্কজনিত সমস্যা। আক্ষরিক অর্থে, শরীর ও মস্তিষ্কের ভারসাম্যের তারতম্যের জন্যে শারীরিক যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় সেগুলোই মোশন সিকনেস। গাড়িতে ওঠার পর মাথা ঘোরা, বমিভাব, ক্লান্তি-অবসাদ জাতীয় অনুভূতিগুলোই মোশন সিকনেসের লক্ষণ। কেন হয় মোশন সিকনেস মানবশরীর আর কম্পিউটারের মধ্যে বিশেষ মিল হলো মস্তিষ্কে। কম্পিউটার যেমন সিপিইউর নির্দেশ মেনে চলে, আমাদের শরীরও মস্তিষ্কের আদেশ ছাড়া কিছুই বোঝে না। আর আমাদের গতি- স্থিরতার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের অন্তঃকর্ণ। আমরা যখন গাড়িতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ আমাদের মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। মস্তিষ্ক অন্তঃকর্ণের তথ্য অনুযায়ী কাজ শুরু করে। কিন্তু আমাদের চোখের সামনে গাড়ির সিট ও সেখানে বসে থাকা মানুষটি থাকে স্থির। তখনই হয় শরীর ও মস্তিষ্কের ভারসাম্য ওলটপালট। মস্তিষ্ক ভেবে নেয় শরীরে স্নায়ু-বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্নায়ু-বিষক্রিয়াকে প্রাকৃতিকভাবে প্রতিরোধ করার জন্য বমিভাব শুরু হয়। এটাই মোশন সিকনেসের কারণ । তবে সব মানুষের এই অসুস্থতা অনুভব হয় না। অনেকের মস্তিষ্ক মোশন সিকনেস বিষয়টি লক্ষ করতে পারে না। ফলে এই বিষয়ে তারা হয় অনুভূতিশূন্য। মোশন সিকনেস হলে যা করণীয় গাড়ির জানালা বরাবর সিট যেহেতু গাড়িতে সে সময় মস্তিষ্ক শরীরকে গতিময় বলে ধরে নেয়, তখন আপনাকেও চলমান কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। মোশন সিকনেস যাদের হয় তাদের উচিত গাড়ির জানালা বরাবর সিট নেয়া। মুখরোচক কিছু খান গাড়িতে খারাপ লাগা শুরু হলে মুখরোচক কিছু খেতে পারেন। মিষ্টিজাতীয় খাবার গাড়িতে না খাওয়াই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে লেবু , আদা , মিন্ট স্বাদের চুইংগাম চিবালে সিকনেস নিয়ন্ত্রণে থাকে। বমির ওষুধ ভ্রমণ যদি লম্বা সময়ের জন্য হয় তবে তন্দ্রাচ্ছন্নভাব আনার জন্য কম মাত্রার ঘুমের ওষুধ অথবা কোনো বমির ওষুধ খেতে পারেন। যদিও চলার পথে না ঘুমানোই উত্তম। বই পড়া গাড়িতে বই পড়া কমিয়ে আনতে পারে আনার বমির অভ্যাস।কখনোই যাত্রার আগেই বমির কথা ভাববেন না । এটি আপনাকে আরও অসুস্থ করে দেবে।