খালেদার খনি দুর্নীতি মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

নন্দিত ডেস্ক : উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ায় খালেদা জিয়া সহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে করা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা চলতে আর কোন আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে আদালত রুল খারিজ করে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামীকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য আছে। গত ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর বকশিবাজারে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ আদালত এই তারিখ ধার্য করেন। এই মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত ছিল বিধায় বিচারিক আদালতে মামলার চার্জ গঠন করা সম্ভব হয়নি। ২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মামলার আসামি সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হক মামলাটি বাতিলের জন্য আবেদন করলে হাইকোর্ট এই মামলায় রুল ও স্থগিতাদেশ দেন। সোমবার এ রুল নিষ্পত্তি করে স্থগিতাদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপ- পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন । বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন— সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত), এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।