সুরমা পাড়ের অপ্সরী

আলেয়া রহমান :: জোছনা রাতের আকাশ দেখাবে বলে তুমি নিয়ে এলে আমায় সুরমা পাড়ে। আমি তুমার হাত ধরে ছুটলাম আপন মনে। জোছনার আলোয় আমার দীঘল কালো চুল টানা টানা চোখ, আলতো রাঙা ঠোঁট দেখে তুমি ইর্ষান্বিত হয়ে উঠলে। তুমি কৌশলে লাগেজ বন্ধি করে, সুরমার গভীর জলে ধপাস করে আমায় ফেলে দিলে। আমার উষ্ণ শরীর ধীরে ধীরে শীতল হয়ে গেল। তুমি আইনের লোক বলে পার পেয়ে গেলে। ভাগ্যিস, আমি সাত দিন সুরমার জলে গড়াতে গড়াতে উঠলাম, এক জেলের জালে। জেলে বেচারা বড় মাছটি পেয়েছে বলে মহা খুশি। গায়ের সমস্ত শক্তি ব্যয় করে, আমায় টেনে তুললো তীরে। সেই থেকে আমি হয়ে গেলাম সুরমা পাড়ের অপ্সরী। রাজ ঐ যে দেখছো বড় বট গাছটি, ঐ গাছটি আমার ঠিকানা।যখন পূর্ণীমা রাতে, কোন মানব মানবী ঘাটে বাঁধা নৌকা দিয়ে সুরমার বুকে ভেসে বেড়ায়,তখন আমি আমার দীঘল কালো চুল সুরমার লিলুয়া বাতাসে উড়িয়ে দেই। আর দু্ হাত ভরে হাছনা হেনার সৌরভ ছড়িয়ে খিলখিল করে ঁহাসি। সব মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে। ঝিনুক যেমন জলের গভীরে থেকে মুক্তো পুষে, এ মুক্তোর জন্যই একদিন তাকে মরে যেতে হয়। এতেই তার সুখ এতেই তার আনন্দ। আমি তুমাকে ঠকাইনি রাজ। তুমি বিশ্বাস কর বিশ্বাস কর।