খুব জানতে ইচ্ছে করে

জাকারিয়া মোহাম্মদ

আমার একটা শহর ছিল। একান্ত নিজের একটা শহর। সে শহরে একটা প্রবহমান নদীর মত ছিলে তুমি। কলকল শব্দে বয়ে চলা- এ যেন এক গ্রামীণ কিশোরীর চঞ্চল পদচারনা। বাঁকে বাঁকে স্রুতের টান- নব যৌবনের এ মোহে আমি আবিষ্ট হতাম প্রতিনিয়ত। স্বচ্ছ জলের ধারা- যেন বিস্তৃত সে হাসির অমোঘ মায়ায় বুদ হয়ে ছিলাম আজন্ম। এভাবেই মৃদুমন্দ কোলাহলে প্রাণবন্ত ছিল আমার শহর। আমি আমৃত্যু ডুবে ছিলাম তোমাতে। অথচ খেয়াল করিননি, তুমি কবেই শুকিয়ে চৈত্রের মাঠ। তোমার গভীরতার সে সীমাহীন, যেন বুকের মধ্যে আস্ত এক বিশাল সিন্দুক। আমি বুঝেছি কিন্তু খুজতে যাইনি। স্বচ্ছ জলরাশির নীল যে বিষেরই রঙ তা তুমি কি দারুণ ভাবে বুঝিয়ে দিলে। আজ তুমি অন্য কারো শহর চিরে বয়ে চল। সেখানেও কি কাউকে আবিষ্ট কর অমোঘ মোহে? ছায়ার মায়ায় আকৃষ্ট কর শহরপতিকে? প্রাণোচ্ছল হাসিতে সপে দাও বিস্তীর্ণ তোমাকে? খুব ইচ্ছে করে জানতে। তোমার উপস্থিতিতে যে শহর বর্ণিল, অনুপস্থিতিতে যা কতখানি পুড়বে তা কি বুঝ?