আমাদের প্রেমের বয়স দুই মিলিয়ন প্রায়!
তখনো মানুষ জন্মায়নি।
ইশ্বরের ভাড়াটিয়া তুমি আর আমি দুটি মহাপ্রাণ,
সুখেই ছিলাম মহাজাগতিক সংসারে।
তুমি ডায়নোসরে ছানার জন্য বায়না ধরেছিলে,
আমি তোমাকে ডায়নোসরের শাবক এনে দিলাম।
তাকে নিয়ে তোমার সে কি ভালোবাসা আর খুনসুটি!
সারাক্ষণ তাকে নিয়েই মেতে থাকতে,
আমার ভিষণ হিংসে হত।
অতঃপর মহামারিতে সব ডায়নোসর মারা গেল।
আমি মনে মনে খুশি হলাম, কিন্তু তোমার কান্না থামায় কে?
ইতোমধ্যে পৃথিবীতে মানুষ জন্ম নিয়েছে।
আমি তোমাকে স্বান্তনা স্বরূপ মানুষের বাচ্চা এনে দিলাম।
কিন্তু তা ছিল আমার আজন্ম পাপ!
তুমি নতুন নেশায় মজে গেলে,
বাড়তে শুরু করলো আমাদের দূরত্ব।
অতি অল্প সময়ে কত আলোকবর্ষ দূরে চলে গেলাম আমরা।
তুমি পরকিয়া প্রেমে খুঁজে নিলে নিজ সংসার।
নিজেকে সঁপে দিলে মানুষের বাসরে।
তোমার কপালে তাই সিঁদুর লেপে মানুষের বাচ্চা।
হাতের চুড়ি ভাঙে স্রেফ পুরুষ মানুষ।
বুকের ভেতর ফুঁসে উঠা ভালোবাসা,
গোগ্রাসে পান করে নবীন পুরুষ।
এদিকে আমি বনে গেলাম ব্রহ্মান্ডের কবি।
তুমিও নতুন নতুন শরীরেই কামিয়ে যাও আদিম ইবাদত,
আমি বরং কবিতায় জিইয়ে রাখব আমার প্রেম।
আরো দুই কিংবা চার মিলিয়ন বছর।
লেখক :জাকারিয়া মোহাম্মদ ।
মন্তব্য