বাবা কেমন আছো তুমি?

বাবা কেমন আছো তুমি?বাবা,আমি তোমার ছোট ছেলে বড় হয়ে গেছি অনেক, চুল দাড়িতে পাক না ধরলেও বুড়ো হয়েছে মনের আবেগ। দেখেছি বাবা তোমার বার্ধক্য,দেখেছি তোমার যৌবন, দেখেছি তোমার চুল পেকে যাওয়া,দেখেছি তোমার ক্রন্দন। বাবা আমার ও এখনো চলছে যৌবনকাল,বুড়িয়ে যাচ্ছি আমি, তোমার মত চিন্তার রেখা বুড়িয়ে দিচ্ছে আমায় জানে তা অর্ন্তযামী। ছোট ছিলাম ভালোই তো ছিলাম,বড় তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেলাম, একটা সময় ইদ এলে পড়ে বসে থাকতাম,অপেক্ষায় তোমার তরে। নিয়ে যাবে আমায় কিনতে ইদের কাপড় জুতা দেড়ি করে এলে অভিমানে পরে, বসে থাকতাম মুখ গোমড়া করে। তুমি এসে বাবা বুলিয়ে দিতে, দেখতাম যেন তুমার বুকেই আমার মাথা। বুড়ো বয়সে তোমাকে নিয়ে যেতাম কিনে দিতে একটি শার্ট, রিকশা করে যেতাম একসাথে,লুকিয়ে দেখতাম তোমায়,এই মানুষটাও ছিল আমার থেকে আধুনিক আর স্মার্ট। এখন আমার ইদ আসে,চলে যায় বড় চুপটি করে কেনা হয়না কিছুই নিজের তরে, তাতে নেই দুঃখ,তবে কেমন যেন চুপসে যাওয়া সময় আর ইদ। বুড়ো হয়ে গেছি,মনের দিক থেকে,শরীরও বুড়োবে সময় আর থেকে থেকে, ছোট আমি ভালোই তো ছিলাম বাবা,ঈশ্বর তবে শরীরে বয়সের রেখা দিচ্ছেন একে। মনে পড়ছে তোমার বলা শেষ দুটি লাইন,"কালের স্রোতে জীবন যৌবন সব চলে যায়।" কেমন আছো বাবা,চিন্তা করোনা বার্ধক্যে ধরেছে আমায়,চলে আসবো তোমার কাছেই,গল্প হবে তোমায় আর আমায়। লেখক: তালুকদার তুহিন,প্রভাষক বিশ্বনাথ ডিগ্রী কলেজ ।