শাল্লায় জ্বরের প্রাদুর্ভাব, আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : আবহাওয়ার পরিবর্তন জনিত কারণে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বেড়েছে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব। ঘরে ঘরে আক্রান্ত হচ্ছে সবাই। তবে এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী জ্বরের চিকিৎসা নিতে আসেন। এরমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ২৫জন জ্বরের রোগী। মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ১৪জন জ্বরে ও ২জন শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাছাড়াও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের কাজে আসা রোগীদের মধ্যে এখন জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশী। উপজেলার ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারের রঞ্জন ফার্মেসীর পরিচালক নির্মল চন্দ্র রায় জানান এখন জ্বরের ব্যবস্থাপত্রই বেশী আসছে। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন উপজেলার বাহাড়া গ্রামের মহাদেব দাস। তিনি বলেন, প্রায় চারদিন ধরে জ্বরে ভোগছি ; চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ খাচ্ছি। কিন্তু কোনো পরিবর্তন নেই। আমার পরিবারে আরো দুই জন জ্বরে আক্রান্ত। চব্বিশা গ্রামের মো. রিয়াজুল হাসান রিয়াজ জানান আমাদের গ্রামে কমপক্ষে ১৫জন জ্বরের রোগী রয়েছে। এক সপ্তাহ থেকে জ্বরের লক্ষণ কিছুটা বেশী দেখা যাচ্ছে। শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ডা. সুমন আহমেদ জানান, চলতি সপ্তাহে জ্বরের রোগী একটু বেশী আসছেন। প্রায় প্রতিদিন ৫০জনের মতো জ্বরের রোগীকে বহি:বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, সাধারণত জ্বরের প্রাদুর্ভাব আবহাওয়া জনিত কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাকে আমরা ভাইরাল ফিভার বলে থাকি। তাছাড়া হাওরে নতুন পানি এসেছে এতে গোসল ও মাছ ধরাটাও এ জ্বরের একটা কারণ। অপরদিকে অত্যধিক গরমের জন্য শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছি।