জগন্নাথপুরে পশুর হাট, দাম বেশী দেশী গরুর

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শুরু হয়েছে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরু-ছাগলের হাট। ঈদের বাকী ১৪দিন, এরই মধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলার বাজারগুলো। অন্যান্য বছর পাশ্ববর্তী দেশ থেকে কোরবানী উপলক্ষ্যে গরু আসলেও এই বছর গরু আসছেনা ফলে উপজেলাবাসীকে কোরবানীর জন্য এবার দেশী গরুর উপর নির্ভর করতে হবে। বাইরের গরু না আসাতে দাম চড়াও দেশীয় গরুর। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরু প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকার বেশী দাম গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাগন এবার অকাল বন্যায় গো: খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় এই বছর গরুর দাম বৃদ্ধি হওয়াটাও অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে গরুর দাম দেখে রীতিমত অবাক। ঈদের আগে বাইরের গরু না আসলে বেশী দামে দেশী গরু দিয়েই এবার কোরবানী করতে হবে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীকে। ঈদের এখনো ১৪ দিন বাকী থাকায় অনেকে গরুর দাম কম হওয়ার কথা চিন্তা করে এখনো গরু কিনতেছেনা। আবার বাইরের গরু না আসায় ঈদ পর্যন্ত রাখলে আরো ভালো দাম পাওয়ার আশায় গরু সহজে বিক্রি করছে না বিক্রেতারা। উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার, রসুলগঞ্জ বাজার, জগন্নাথপুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজারের গরু সমাগন লক্ষ্য করা যায়। যতদিন যাবে গরু, ছাগলের দাম বাড়বে বলে আসা করছেন ক্রেতাগন। সোমবার উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে কুরবানী পশু ক্রয় করতে আসা ক্রেতাগন জানান, প্রবাসীরা বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে অনেকেই গরু ক্রয় করবেন বলে জানান। উপজেলা জুড়ে কুরবানীর গরুর হাট জমতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানান ইজারাদারগন। রানীগঞ্জ গরু বাজারের সহ ইজারাদার দিদার আহমদ সুমন বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রানীগঞ্জ বাজারে দেশীয় গরুর সরবারহ এবং চাহিদা বেশী। তাছাড়া রানীগঞ্জ বাজার জগন্নাথপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার হওয়াতে এখানে বাইরের ব্যাপারীই বেশী আসে। ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিজস্ব পাহারাদার বাহিনীর উপস্থিতির পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।