সিলেটে যেভাবে হত্যা করা হয় কলেজ শিক্ষককে 

নন্দিত সিলেট : প্রেমঘটিত জের ধরেই নির্মম ভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হোন সিলেটের মদন মোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক সাইফুর রহমান। সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দেয় আটককৃত দুই আসামী। আদালতে গ্রেফতারকৃত মোজাম্মিল ও রূপা জানায়, দক্ষিণ সুরমার হোটেল মিহিরের একটি কক্ষে রুম ভাড়া করে তারা। পরে সেমাইয়ের সাথে বিশ মিশিয়ে সাইফুরকে অজ্ঞান করা হয়। এক পর্যায়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে সাইফুর অসুস্থ বলে সিএনজিতে তোলে নেয় আসামীদ্বয়। তারপর গাড়ির মধ্যেই দুজনে মিলে ফাঁস লাগিয়ে সাইফুরের মৃত্যু নিশ্চিত করে। সোমবার মহানগর এমএম-টু আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে এভাবেই আসামীরা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধী দেয়। জানা যায়- শিক্ষক সাইফুর রহমানের সাথে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রেম চলছে রুপা বেগমের। সাইফুর রহমান রূপার বাসায় লজিং মাস্টার ছিলেন। এই সুবাদে রুপার সাথে প্রেম হয় সাইফুরের। রূপাও ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী। এভাবে তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। মাঝখানে আটককৃত মুজাম্মিল এসে রূপার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়। এতে বাঁধা দেন শিক্ষক সাইফুর। আর এ কারণেই খুন হন তিনি। শিক্ষক সাইফুর হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) নিহতের মা রনিফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর পৃথক অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। নগরের টিলাগড় থেকে মোজাম্মিল হক ও রুপাকে সুরমা গেইট বড়টিলা এলাকার নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়। রবিবার (৩১ মার্চ) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা তেলিরাই এলাকা থেকে সাইফুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাইফুর গোয়াইনঘাট উপজেলার ফলতইল সগাম গ্রামের মো. ইউসুব আলীর ছেলে। তিনি নগরের টিলাগড় জমিদার বাড়ির একটি মেসে থাকতেন। পেশায় শিক্ষক সাইফুর শহরের মদন মোহন কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। পাশাপাশি গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল কলেজেরও প্রভাষক ছিলেন।