জুয়েলার্স সমিতির নির্বাচনে দুই মাসের স্থগিতাদেশ

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) ২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে দুই মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এফবিসিসিআই এর আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে এক স্বপ্তাহের রুল জারি করেছে আদালত। সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাজুসের এক সদস্যের করা সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ১২৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৮ই নভেম্বর রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী ও আইনজীবী ইমাম হাসান। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। ইমাম হাসান সাংবাদিকদের জানান, এ নির্বাচনের জন্য ১২ই সেপ্টেম্বর একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ১১৪ জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী বোর্ডে আবেদন করেন নির্বাচনের প্রার্থী বিপুল ঘোষ ,শঙ্কর। কিন্তু নির্বাচনী বোর্ড ২৯শে সেপ্টেম্বর ওই ১১৪ জনকে রেখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন। পরে তিনি এফবিসিসিআই’র আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। এর মধ্যে তিনি হাইকোর্টে একটি রিটও করেন। গত ৩০শে অক্টোবর আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল আবেদন খারিজ করে দেন। পরে বিপুল ঘোষ হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেন। ওই আবেদেনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নির্বাচনের ওপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেন। রুলে এফবিসিসিআইর আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সচিবসহ ১২৯ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।