ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে গুলির অভিযোগ

ভুল করে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার পর ইরানে চলা বিক্ষোভে গুলির শব্দ শোনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া ভিডিওতে গুলির শব্দের পাশাপাশি মাটিতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগও দেখা গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। রোববার রাতে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওই এলাকার কাছাকাছি কোথাও অবস্থানরত রাইফেলধারী ব্যক্তিদের ছবি দেখানো হয়েছে, যাদের দেখে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মনে হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে গুলি চালানোর কথা সত্য নয় বলে দাবি করেছে ইরানের পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা আরেকটি পোস্টে দাঙ্গা পুলিশকে রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের লাঠি দিয়ে পেটাতে দেখা গেছে, এ সময় কাছে থাকা লোকজন ‘তাদের মারবেন না!’ বলে আওয়াজ করতে শোনা গেছে। সোমবার এক বিবৃতিতে তেহরানের পুলিশ প্রধান হোসাইন রহিমি জানিয়েছেন, ইরানের রাজধানীতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি করেনি এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের সংযম প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া আছে। গত বুধবার ভোরে দুর্ঘটনার পর প্রথম তিন দিন ইরান বিমানটি ভূপাতিত করার কথা অস্বীকার করে। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদেরই দায়ী করে আসছিল। ইরান দাবি করে, কারিগরি ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাস্থল থেকে তারা বেশ কিছু প্রমাণ সরিয়ে ফেলেছে। দেশ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে শনিবার ইরান স্বীকার করে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ইউক্রেনের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ১৭৬ যাত্রী নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই ইরানি ও ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক। আন্তর্জাতিকভাবে খুব বেশি সমালোচনার মুখে না পড়লেও এই স্বীকারোক্তির ঘটনায় ইরানের জনগণ বিক্ষোভে নেমে পড়েছেন। সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার পর নীরব থাকলেও এবার তারা সরব। এবারের বিক্ষোভের একটি অংশ সাধারণভাবে সরকার সমর্থক এবং রক্ষণশীলরাও রয়েছেন।তারা বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার ইন চিফের পদত্যাগ দাবি করেছেন।