বৃটেনে আটকে পড়া ১৩০ শিক্ষার্থী দেশে ফিরছেন সোমবার

বৃটেনে আটকে পড়া ১৩০ শিক্ষার্থী সোমবার সকালে ঢাকা পৌঁছাচ্ছেন। রোববার সন্ধ্যায় তারা লন্ডন থেকে রওনা করবেন। সে মতেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বৃটেনের বাংলাদেশ হাই কমিশন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ধারণা করা হয়েছিল ২০০ এর মত বাংলাদেশি ফিরবেন। সে মতে অ্যারেঞ্জমেন্টও করা হয়েছিল, কিন্তু দেশে ফিরে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার ভয়ে শেষ সময়ে এসে অনেকে ফেরার সিদ্ধান্ত (আপাতত) স্থগিত এবং প্রদেয় বুকিং বাতিল করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মতে, হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম হিথ্রো বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ এ উপস্থিত থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিদায় জানাবেন। তাদের এরইমধ্যে মেডিকেল চেকআপ হয়েছে। তারা সবাই কোভিড-১৯ এর উপসর্গ মুক্ত মর্মে সার্টিফিকেট পেয়েছেন। ঢাকায় ফেরার পর তাদের অবশ্যই ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়- বাংলাদেশ বিমানের ওই স্পেশাল ফ্লাইটে যারা ঢাকা থেকে লন্ডন যাচ্ছেন তাদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। উল্লেখ্য, সেগুনবাগিচা জানিয়েছে- লন্ডনের বাংলাদেশ মিশনের বিশেষ অনুরোধে বৃটেনে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে বাংলাদেশ বিমানের ওই স্পেশাল ফ্লাইট ব্যবহারের অনুমতি দেয় সরকার। ১০ মে রোববার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণে করে একই দিনে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে বিমানটি। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মতে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানটি বাংলাদেশ এয়ারফোর্স ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট পরিচালনা করছে। করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত মার্চের শেষ সপ্তাহে ঢাকা-লন্ডন রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে অনেকেই আটকা পড়েন বৃটেনে। তারা হাইকমিশনে যোগাযাগ শুরু করেন, বিশেষত শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিকে ১৭-১৮ জন শিক্ষার্থী যোগাযোগ করলেও স্পেশাল ফ্লাইট আয়োজনের খবরে রেজিস্ট্রেশন করেন বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ মিশন অবশ্য জানিয়েছে- বৃটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার বৃটিশ ফরেন ও কমনওয়েলথ অফিস এবং ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনকে অনুরোধ করেছিলেন ঢাকাগামী বৃটিশ এয়ারওয়েজের সিরিজ স্পেশাল ফ্লাইটের কোনো একটা ফ্লাইটে ১০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ফেরাতে। তারা রাজিও হয়েছিল (শেষ পর্যন্ত)। কিন্তু দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।