পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি -কর্ণিয়া

করোনা পরিস্থিতির কারণে থমকে আছে বিশ্ব। আমাদের দেশেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই সময়ে ঘরে থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাকেই করোনা প্রতিরোধের বড় উপায় বলা হচ্ছে। এ কারণে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। অন্য সবার মতো ঘরে থাকছেন চলতি সময়ের আলোচিত কণ্ঠশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়াও। এই সময়ে কেবল একদিন তিনি ঘর থেকে বের হয়েছেন মাকে ডাক্তার দেখাতে। ঘরে বসে পরিবারকে সময় দিচ্ছেন এই গ্ল্যামারাস শিল্পী। কর্ণিয়া বলেন, এখন আসলে ঘরে থাকার কোনো বিকল্প নেই। ঘরেই থাকছি। এর মধ্যে গতকাল(শনিবার)শুধু মাকে নিয়ে কিছু সময়ের জন্য দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। আসলে মায়ের দাঁতের ব্যাথা এত বেশি ছিল যে যেতেই হলো। দাঁত ফেলতে হয়েছে। এই একদিন ছাড়া বাকি দিনগুলো বাসাতেই কাটিয়েছি। বাসায় নামাজ পড়ছি, রোজা রাখছি। এর বাইরে রান্নার চেষ্টা করছি। ঘুমোচ্ছি অনেক। তাছাড়া বাসায় গানের চর্চা করছি। আর মাঝেমধ্যেই গুগল মামাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকছি। সত্যি বলতে বছর জুড়েই স্টেজ নিয়ে ব্যাস্ত থাকি। তার সঙ্গে থাকে গান রেকর্ডিং আর শুটিং। হঠাৎ করে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অন্যরকম লাগছে। এখন পরিবার ও নিজেকে সময় বেশি দিচ্ছি। কর্ণিয়া আরো বলেন, এখন কেউ ভালো নেই। এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কেউ চায়নি। আমারও ভালো লাগছে না। তারপরও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। এদিকে কর্নিয়া করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক গানেও এরমধ্যে অংশ নিয়েছেন বাসা থেকেই। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সচেতনতামূলক পোস্ট দিচ্ছেন। এ শিল্পী বলেন, করোনার এই সময়ে সচেতন হতে হবে সবাইকে। এ ছাড়া কোনো উপায় আমাদের হাতে নেই। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো ঘরে থাকার জন্য। সামাজিক দুরত্ব ছাড়া করোনা প্রতিরোধ সম্ভব নয়। আর যে যে নিয়মের কথা বলা হচ্ছে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। অতি প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। হাঁচি কাশি এলৈ টিস্যু ব্যবহার করতে হবে। না হলে হাতের কনুই ব্যবহার করতে হবে। আর যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এই সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশেও দাড়ানো উচিত। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আসলে আমাদের এই করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে হবে।