ভ্যাকসিন চেয়ে জয়শঙ্করকে মোমেনের ফোন

বাংলাদেশকে দ্রুত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। টেলিফোনে আলাপকালে ড. মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ অনুরোধ করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের চাহিদাসহ বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানান। এ সময় ড. মোমেন ভারতে ঘূর্ণিঝড়সহ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। এ ছাড়া মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। ড. মোমেন বলেন, ভারত যেহেতু সময়মতো ভ্যাকসিন দিতে পারেনি সেজন্য বাংলাদেশকে অতি শিগগিরই ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য তিনি ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করতে পারেন বলে ড. মোমেন উল্লেখ করেন।

এস জয়শঙ্করও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরাধ করবেন বলে জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে প্রবাসী বাংলাদেশি ডা. এএফএম হকের নেতৃত্বে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপকসহ সে দেশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্তরের ১০১৪ জন প্রফেশনাল প্রবাসী বাংলাদেশি-আমেরিকান স্বাক্ষরিত একটি আবেদন হোয়াইট হাউসে প্রেরণ করেছেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখা, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং জর্জিয়ার স্টেট সিনেটর শেখ রহমানও বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য হোয়াইট হাউসকে অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশিরা অসমর্থিত সূত্রে জানতে পেরেছিলেন, বাংলাদেশের করোনার আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার তালিকায় নেই। যেসব দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেশি সেসব দেশ অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে।