এলএসডি ব্যবসায় জড়িত ১৫টি গ্রুপ

দেশে এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড) মাদকের সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে অন্তত ১৫টি গ্রুপ জড়িত আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আব্দুল আহাদ। আজ রবিবার (৩০ মে) রাজধানীর পল্টন থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। আ. আহাদ বলেন, শনিবার (২৯ মে) রাত থেকে রাজধানীর শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এলএসডি সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে আমরা গ্রেপ্তার করি। গ্রেফতার হওয়া তরুণরা হলেন- সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), এসএম মনওয়ার আকিব (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বিএম সিরাজুস সালেকীন (২৪)। তাদের কাছ থেকে দুই হাজার মাইক্রোগ্রাম এলএসডি, আইস ও গাঁজা জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া এসব তরুণ জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে তারা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গত এক বছর ধরে এলএসডি সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত তারা। অনলাইনে তাদের এই ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা আকৃষ্ট হয়ে এলএসডি সেবন শুরু করে। তারা মূলত বিদেশ থেকে এলএসডি মাদক সংগ্রহ করে থাকে। রাজধানীতে ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা এলএসডি বিক্রি করে আসছে। গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরে এই এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। গ্রুপগুলোকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এরা সরাসরি ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। অনলাইনের মাধ্যমে তারা এলএসডি মাদক নিয়ে আসত। তাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার কাজ চলছে। তারা কোন দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এরা মূলত ইউরোপের দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসত। ১৯৩৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একজন বিজ্ঞানী ওষুধ হিসেবে এলএসডি আবিষ্কার করেন। পরে এটি অপব্যবহার হয়ে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে এলএসডি কীভাবে আসে এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, কুরিয়ার ও লাগেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে এলএসডি আসে। বেশ কয়েকটি গ্রুপ দেশে এলএসডি আনার সঙ্গে জড়িত। আমরা এসব গ্রুপের সব সদস্যকে আইনের আওতায় আনতে পারব বলে আশা করি। দেশে এই গ্রুপগুলো কতদিন ধরে সক্রিয় জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা গত এক বছর ধরে এলএসডি মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এছাড়া গত এক বছর ধরে তারা নিজেরা এলএসডি সেবন করছেন বলে জানা গেছে। তবে গ্রুপের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার করলে বোঝা যাবে তারা দেশে কত দিন ধরে সক্রিয়।