ভাসানচরে যুক্ত হচ্ছে জাতিসংঘ, ৪ বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় হতাশ রোহিঙ্গারা

ভাসানচর এবং কক্সবাজারে থাকা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরজমিনে দেখতে ঢাকা সফরে আসা জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর প্রটেকশন গিলিয়ান ট্রিগস ও অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার ফর অপারেশনস রাউফ মাজুও প্রায় অভিন্ন সুরে  বলেছেন, বাংলাদেশসহ সব জায়গা শরণার্থীদের পাশে থাকবে ইউএনএইচসিআর। তাদের ভাষ্যটি ছিল ' রোহিঙ্গাদের পাশে আমরা অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো।' এ সময় তারা করোনা থেকে রক্ষায় রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার যা করেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভাসানচরের পরিবেশ বিষয়েও তারা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের বসবাসের জায়গা কক্সবাজারের চেয়ে ভালো। এখানে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে। রোহিঙ্গাদের সহায়তায়, পুনর্বাসনে ভাসানচরে যুক্ত হবে জাতিসংঘ। বুধবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী বৈঠক শেষে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় যৌথ সংবাদ  ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, পালিয়ে আসার চার বছরেও দেশে ফিরতে না পেরে হতাশ রোহিঙ্গারা।

যে কারণে তারা ভাসানচরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।  রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গারা কী করবে, তারা তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে না। তাদের বাচ্চাদের পড়ালেখা নাই। তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। ফলে তারা নিজ দেশে না হয় তৃতীয় কোন দেশে যেখানে উন্নত জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে তারা ফিরতে চায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের রাখাইনে বেশি ফোকাস করতে বলেছি। সেখানে প্রত্যাবাসনই প্রকৃত সমাধান।


এসময় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।