গোয়াইনঘাটে ত্রিপল মার্ডার: থানায় মামলা, পুলিশের নজরদারীতে স্বামী হিফজুর

সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফতেহপুরে মাসহ ২ শিশু নির্মমভাবে খুন হওয়া হওয়ায় ঘটনায় ফতেহপুরসহ উপজেলা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘুমের ঘরে মাসহ ২ শিশু নির্মমভাবে খুনের ঘটনাটি ঘুরপাক খাচ্ছে সচেতনদের মাঝে। লো-মহর্ষক এই খুনের ঘটনায় হতবাক পুরো এলাকার মানুষজন। এদিকে চাঞ্চল্যকর এই ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাতে ভিকটিম আলেমার বাবা রামনগর গ্রামের আইয়ুব আলী বাদী হয়ে উক্ত মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলা নং- ২২, তারিখ ঃ ১৬/০৬/২০২১ ইং। নির্মম এই খুনের ঘটনায় আহত স্বামী হিফজুর রহমানকে পুলিশ নজরদারীতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ও সূত্র এই নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে হিফজুরকেই প্রধান সন্দেহ ভাজন হিসাবে ধরে নেয়া হচ্ছে।


চিকিৎসা শেষে এ বিষয়ে হিফজুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও পরিষ্কার হওয়া যাবে বলে পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ব্যাপারে কথা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, অজ্ঞাত অপরাধীদের আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় ভিকটিম আলেমা বেগমের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সংগঠিত খুনের আলামত হিসাবে ব্যবহৃত ১টি বটি দা উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান,মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা হইতে ভোর রাত ৫টা পর্যন্ত যে কোন একটি সময়ে এই নির্মম খুনের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এবং পারিবারিক কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে আহত হিফজুর রহমান কিছুটা মানসিক রোগী এবং বছরে এক দুইবার পাগলামির ঘটনা করে থাকে। তিনি জানান, মামলার আলামত সূত্রে এখন পর্যন্ত বহিরাগত কোন সংশ্লিষ্টতা ফুটে উঠেনি।

হিফজুরকে সামনে রেখে তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে। নির্মম এই খুনের ঘটনায় সিলেট রেঞ্জ ডি.আই.জি মফিজ উদ্দিন, পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিনসহ সি.আই.ডি, পিবিআইসহ পুলিশের একাধিক ইউনিট সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিফজুরকে দেখতে যান পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ জানান, ৩ জনকে খুনের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন সাপেক্ষ  জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। উক্ত মামলায় প্রধান সন্দেহ ভাজন হিফজুরকে কেন্দ্র করে তদন্তভার এগুচ্ছে।