বাঁচানো গেল না বিমানের সেই পাইলটকে

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৪৯ যাত্রীর জীবন বাঁচানো সেই পাইলট ক্যাপ্টেন আতাউল কাইউম নওশাদকে বাঁচানো গেল না। ভারতের নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। জাতীয় একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানের এমডি ড. আবু সালেহ মো. মোস্তফা কামাল। তিনি জানান, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ দেশে নিয়ে আসা হবে। এর আগে, মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউমকে ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের সার্জিকেল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় রাখা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়। গত ২৭ আগস্ট মাস্কাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২-তে মোট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। তিনি বিমানটিকে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান। পরবর্তীতে বিমানের পাইলটকে নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রসঙ্গত,ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।