ঠাট্টার ছলে গোপনাঙ্গে লাথিতেই বন্ধুর মৃত্যু

বগুড়ায় প্রায় ৫ মাস আগের একটি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন সাংবাদিকদের এসব জানান।

পিবিআই বলছেন, গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছিল শমসের আলী নামে এক ব্যক্তির। পরে তার মরদেহ বেঁধে করতোয়া নদীর তীরে ফেলে যায় শমসেরের বন্ধু মো. মোস্তফা।

মোস্তফার বরাতে পুলিশ জানান, মোস্তফা ও শমসের বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা ঘুরে ধানের জমিতে কাজ করতেন। তাদের দুজনের বাড়ি নীলফামারী জেলায়। গত জুনে মাটিডালির একটি স-মিলে আরও ৭ থেকে ৮ জনের সঙ্গে থাকা শুরু করেন। দিনের বেলায় কৃষিজমিতে কাজ করতেন। পরে রাতে স-মিলে ঘুমাতেন।

এদিকে গত ২৮ জুন শমসের ও মোস্তফা কাজ শেষে স-মিলে ফিরছিলেন। পথে মম ইন পার্কের পেছনে করতোয়া নদীর ধারে তাদের দেখা হয়। গল্পের এক পর্যায়ে ঠাট্টার ছলে শমসেরের গোপনাঙ্গে লাথি মারেন মোস্তফা। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান শমসের। পরে আতঙ্কে শমসেরের মরদেহ বেঁধে নদীর তীরে ফেলে পালিয়ে যান মোস্তফা। পরদিন স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে সংবাদ দেয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হলেও পিবিআই মামলাটির তদন্ত শুরু করে।

পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন বলেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলা থেকে মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করা হয়।