পর্তুগালে গত ১১ জানুয়ারি ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৮ জন নাগরিক করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশটিতে গত দশ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ একদিনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে গত ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি। এদিন ৩০ আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন; যা ওই সময়কালেও সংক্রমণ শুরুর পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
অপরদিকে করোনার উচ্চ সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দেশটির জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নম্বর অতিরিক্ত ফোন কলের চাপে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারতা টেমিদো লিসবনের অদূরে একটি শহরের হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
বর্তমানে পর্তুগালের করোনা সংক্রমণের জন্য ৯৩ দশমিক ২ শতাংশ দায়ী ওমিক্রন বিষয়টি জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ, ৬ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে এই উচ্চ সংক্রমণ পরিস্থিতি শুরু হয়। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ হাজার ১৬১ জন এবং সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৯৩ হাজার ৩৯৮ জন। বর্তমানে দুই লাখ ৬৯ হাজার ৪৫১ জন ব্যক্তি আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পর্তুগালের সবগুলো হাসপাতালে সর্বমোট ১৫,৫০০ রোগী ভর্তি রয়েছেন এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১,৫৬৪ জন রোগী। চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন এর মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক ৪৪; যা মোট ভর্তি রোগীদের মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। তিনি যোগ করেন মহামারির সাথে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি এবং পর্তুগাল খারাপ পরিস্থিতিতে নেই।
অপরদিকে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এটা সত্য যে মহামারির সর্বোচ্চ খারাপ পরিস্থিতি আমরা পার করতে পেরেছি কিনা তাও নিশ্চিত নয়।
মন্তব্য